Tuesday, March 22, 2016

প্রশ্ন

ফুলদানি ভরা নাটকীয়তা বিছুটির মত লাগে,
ভরাডুবি যাক আম জনতা, রাজনীতি নাকি আগে! ব্যাপম ট্যাপম স্মৃতির পাতায়, ভেমুলা ইতিহাসে, নারদা নিয়ে মাতামাতি আজ বাঁধভাঙা উচ্ছাসে। কারুর গায়ে লালের ছিটে, কেউ সবুজে রাঙা, কেউ স্বার্থের উভ'সঙ্কটে, কভু জল কভু ডাঙা। কেউ গর্জায় দেশদ্রোহিতায়, কেউ চুমু খায় পথে, অ্যাম্বুলেন্সে আম জনতা, মরছে ধর্মঘটে। প্রশ্ন আমি তুলতেই পারি, জবাব থাকে যদি, আম জনতারে কেন ভুলে যাও, যেই পেয়ে যাও গদি।

Wednesday, March 9, 2016

এক-এর দুই

কিছুটা সময় ব্যাক্তিগত, বাকিটা দিলাম তোমায়, কিছুটা জীবন বাঁচি সবাই, বাকিটা কাটে কোমায়। কিছুটা শরীর ধোওয়া মোছা, বাকিটা মলিন, কালো, কিছু আবদার মিষ্টি কথায়, বাকিটা ধমকানো।
কিছুটা পথ তোমার সাথে, বাকিটা লেখা বাকি, কিছুটা গান আটকে ঠোঁটে, বাকিটা গাইবো নাকি! কিছু স্বপ্ন জাগায় আশা, বাকিরা দেয়না সাড়া, কিছুটা আমার প্রাপ্য জানি, বাকিটা আশকারা।
কিছুটা ব্যাথা চোখের কোণে, বাকিটা ফসিল বুকে, কিছু দরদাম কথার ছলে, বাকিটা গেছে চুকে। কিছুটা আমি আমার মত, বাকি আমিটা মৃত, কিছুটা আমরা একা সবাই, বাকিটা আশ্রিত।
আধখাওয়া জীবনযাপন, ডাল-ভাত-তরকারি, আধখানা চাঁদ মাথার ওপর, বাকিটা চাঁদের বাড়ি। আধখানা ঘুণ ধরা প্রেম, দেখা-শোনা-ছোঁওয়াছুই, সম্ভাবনার মাপকাঠিতে সবই এক-এর দুই।

Tuesday, March 8, 2016

Women's Day

Women's day is not a day to celebrate but a thought to take along, a dream to fulfill. Let us shape up a society where ladies seats in buses and ladies compartments in trains are of no use, a society where ladies quota in jobs is redundant and 'always ladies first' type outlook would be considered as backdated, a society where men and women would share home and office duties both, a society where virginity is not a taboo, a society where marriage doesn't mean a change of home for a girl, a society where women enjoy the same freedom a man do. That would be a society where women's day is celebrated daily from the heart.

We need to step up and maintain the same enthusiasm as that of wishing happy women's day, to make a society where every day is a women's day. Where a woman can return back home safe and sound at midnight without keeping her parents and relatives fearfully asleep, where a woman can go and lodge a complaint in a police station, alone, without the fear of getting harassed, where a woman can work with her male colleague or boss without getting nervous because of the undesired glances at her, even for a second, where a woman can visit any gynecologist without gasping once after hearing the name of a male doctor, where gender will not play a role to allow a foetus into this world.

We need a society where women are not treated as women weaker than men, but as women equally capable of men, where having a women competitor would not be a relief, where the power of women would not be justified by a mere section of the lot but the whole. Let us make a society where 'men will be men' would not be a mark of prowess over women but of gratitude towards them. Let us shape up a society, where wishing happy women's day is not a ritual or a routine but a characteristic that will be spread over generations to come.

Monday, March 7, 2016

জোকার

বুননের ক্লাস,
গল্পে ওঠাও ঢেউ,
শুনবে গাধা গরু, অর্বাচীন, সবাই।
নিশিদিন ত্রাস,
খোঁজ রাখেনা কেউ,
নিজের চোখে, নিজেই, হবে জবাই।


ঠোঁটের কোণে ঢং,
সাজানো হাসির ফাঁকে,
চিটিংবাজি, ন্যাকামি বুলিতে।
গিলে খাবে অহং,
বেঁচে যদি থাকে,
নির্বিচারে, অলিতে গলিতে।

সেজে থাকে সং,
সেলফিশ ব্রোকার,
মিশে থাকে আম-জন-পালে।
বদলাবে রঙ,
তাসের জোকার,
প্রয়োজনে অন্তিম চালে।

ভয়ঙ্কর মেটাস্টেবিলিটি

মেটাস্টেবিলিটি তে আটকে আছে সব, আমরা, আমাদের জীবন, আমাদের জীবনধারণ সব। সিস্টেমটাকে পার্টার্ব করে তার স্থায়িত্ব পরীক্ষা করার ইচ্ছা বা অবকাশ কোনটাই আমাদের নেই। পোটেনসিয়াল ব্যারিয়ারটা ক্রমশ বাড়ছে, বেড়েই চলেছে।
বছরের প্রথম বৃষ্টির কথা মনে পড়ে! হঠাৎ আকাশ ভেঙে রুপোলী ধারা নেমে আসতে দেখে, হাত বাড়িয়ে কয়েক ফোঁটা তালুবন্দি করা। তারপর সেই তালুবন্দি জলকণা নিয়ে আহ্লাদে মাখামাখি, কিছুক্ষণ। মিনিট খানেক পর, কোথায় আহ্লাদ, কোথায় জলের রুপোলী কণা, আর কোথায় সেই আনন্দ। আসতে আসতে বন্ধ হয় দরজা জানালা। সময়ের সাথে কাদা, জমা জল-এ জেরবার সব। যারা সেই জলকাদা মাড়িয়ে ক্ষেতে ফসল ফলায়, শুধু তাদের জন্যই আজও আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
হররোজের ঠিকানা ছেড়ে একটা সকাল ধার নিয়েছিলাম সময়ের কাছে। জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুকের মোহ ছেড়ে একটা সকাল আস্তানা গেড়েছিলাম ভৈরবীর সুরে বাউলের দলে। মিঠেকড়া রোদের আনন্দের পরও দুপুরের রোদে চামড়া পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম। তারপর সন্ধ্যের স্নিগ্ধ আলোতে আধময়লা শরীরটাকে ভাসিয়ে দেব সাগরে, এটাই ছিল অভিপ্রায়। যেটুকু সবার চাহিদার বাইরে সেরকম একটা চাহিদা হয়তো আমারই জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে, এই ভেবে। সবে মিঠেকড়া রোদের আরামের পর চামড়ায় টান ধরছে, হঠাৎ বৃষ্টি নামল, থামল না আর। সেই বৃষ্টি তেই পুড়ল, চামড়া নয়, সময়ের কাছে ধার নেওয়া একটা দিন। পরের দিন থেকে আবার আমরা সবাই এক, সেই জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুক, সব নিয়ে এগোতে থাকল সময়।
বাড়ির পেছনের দিকের রাস্তাটায় কেও কোনদিন যায়নি, জঙ্গলে একসা হয়ে আছে। বাচ্চাসুলভ আবদার করেছি ছোটবেলায় অনেকবার, ওই পথটায় যাওয়ার। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। সময়ের সাথে বড় হয়েছি আর জেনেছি যে পথটা বিপদসংকুল। একদিন জেদ চেপে বসল। সবার অলক্ষ্যে হাঁটা লাগালাম। কিছুটা জঙ্গলের ভেতরে এগোতেই পাখির ডাক শুনতে পেলাম। এরকম মিষ্টি ডাক তো আগে শুনিনি কোনদিন। সেই ডাক যেন আমাকে আরও এগিয়ে যেতে বলছে। এগোতে লাগলাম। জঙ্গলের কাঁটায় ছড়ে যেতে লাগলো আমার শরীর। তবু আমি অগ্রগামী। হঠাৎ একটা গাছের দুটো পাতা খসে পড়ল আমার ক্ষতের ওপর। নিমেষে জ্বালা কমে গেল ছড়ে যাওয়া ক্ষতের। ওপরে তাকাতেই চোখে পড়ল গাছের ওপর সুন্দর সুন্দর ফুল। এরকম সুন্দর ফুল তো আগে দেখিনি। ফুলের গন্ধে আমার নেশা হয়ে গেল। আমি পাগলের মত, নেশায় বিভোর হয়ে এগোতে লাগলাম। একটার পর একটা উপলব্ধি আমাকে বিস্মিত করে দিতে লাগলো। হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়লাম, আমার বিছানায়। না এতো স্বপ্ন হতে পারে না। ওই রাস্তা আমাকে ডাকছে। আরামের বিছানা ছেড়ে, পেছনের দরজা খুলে জঙ্গলে ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই দেখি সামনে একটা জগদ্দল পাষাণ। আমার একার পক্ষে এটা সরানো সম্ভব নয়। পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আবার দরজাটা আগের মত বন্ধ করে দিলাম। তারপর থেকে রোজের নিয়মে আবার সামনের দরজা দিয়ে, কেটে যাচ্ছে জীবন। এখনো প্রশ্নটা জাগে, ওই পাষাণের পেছনে সত্যি কি সুন্দর একটা দুনিয়া আছে!
কোন একদিন কোন এক নোংরা মেটাস্টেবিলিটির নালায় পড়ে শুধু মাত্র ইচ্ছা আর উদ্যমের অভাবে, দম আটকে শেষ হয়ে যাবে, আমি, আমরা, আমাদের সব।

Thursday, March 3, 2016

আজকে আবার

আজকে তোমায় দেখব বলে,
টেলিস্কোপে চোখ রাখি;
ঝড় বাদলের দুষ্টুমিতে,
শুভদৃষ্টির পাট বাকি।


আজকে তোমায় ছোঁয়ার আশায়,
বাষ্প জমে জানলাতে;
রোদের ছোঁয়ায় সব গলে যায়,
আমার হৃদয় পাল্লাতে।


আজকে আদর করার নেশায়,
মনের কোণে মেঘ জমে;
দিন কেটে যায় কাজে কারবারে,
রাত্রি কাটে সংযমে।


আজকে আবার তোমার আমার,
প্রেম আদরের মাঝখানে;
স্পেস টাইমের কারভেচারে,
দিক সীমানার বাঁধ টানে।

Wednesday, March 2, 2016

প্যারালাল ইউনিভার্স

দুমড়ে মুষড়ে পড়েছিল সময়। কার্ভড স্পেস টাইম এর ফাঁকে ফাঁকে গাঁথা ছিল যন্ত্রণা। দেখা শোনা বোঝার বাইরে অন্য কোনো ডাইমেনসনে লুকিয়ে ছিল, লুকিয়ে আছে ও থাকবে, সব। রোজ সকালের আধসেঁকা পাউরুটির বুকে ছিদ্রে ছিদ্রে লুকিয়ে থাকা বাতাসের খোঁজ কেও রাখে না। মাখন বা জ্যাম এর প্রলেপ দিয়ে সেই যন্ত্রণা আমরা রোজ গিলছি।

দশটা বাজে। ফোনটা এখনও এলো না! হাঁসফাঁস করছে বুকটা। দুটুকরো বাদাম এর সাথে একটা পেগে চুমুক বসাতে বসাতেও মনটা ডুকরে উঠছে। দুতিনবার হাতটা ফোনের কল বাটনটা টিপতে গিয়েও ফিরে এলো। আরো কিছুটা সময় দেখি। সঙ্গে আরেক পেগ। তারপর কখন নেশায় ডুবে ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল নেই। সেই ফোনের অপেক্ষা আর শেষ হয়নি। কার্ভড স্পেস টাইম এর ফাঁকে কোনো এক প্যারালাল ইউনিভার্স-এ হয়তো ফোনটা এসেছিল। সকালে উঠে আধসেঁকা পাউরুটির ওপর জ্যাম এর প্রলেপ দিয়ে গলাদ্ধকরন। তারপর আবার যেই কে সেই।
পরীক্ষাটা বেশ ভালই হয়েছিল। নিজের নামটা সিলেক্টেড ক্যান্ডিডেটদের তালিকায় দেখে মনের আনন্দটা ধরে রাখতে পারিনি। রোজ সকালে বাবাকে বেরিয়ে যেতে দেখি, ছেঁড়া একটা জামা আর ময়লা একটা প্যান্ট পরে। দুপুরে, রাতে খেতে বসে কোনদিন ভাবিনি আজকের খাবারটা কিভাবে জোগাড় হোল। সেই বাবা যখন আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে এতদিনের জমানো চোখের জলে আমার জামাটা ভিজিয়ে দিল, সেদিন আমার সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়েছিল। তারপর থেকে জয়েনিং লেটারটার অপেক্ষায় আছি। দিন গেল, মাস গেল, বছর গেল। আমার কতশত বন্ধু চাকরি পেল। আমি অপেক্ষায় এখনও। সকালে উঠে আধসেঁকা পাউরুটির ওপর জ্যাম এর প্রলেপটা আর কতদিন দিতে পারব জানিনা। তারপর তো উন্মোচিত হবেই, পাউরুটির বুকে ছিদ্রে ছিদ্রে লুকিয়ে থাকা যন্ত্রণা। তবু আজকের মত পাউরুটির ওপর জ্যাম এর প্রলেপ দিয়ে গলাদ্ধকরন। তারপর আবার যেই কে সেই, অপেক্ষা। সম্ভাবনাময়তার মায়া কাটিয়ে কোনো এক প্যারালাল ইউনিভার্স-এ হয়তো জয়েনিং লেটারটা পৌঁছেছিলো আমার হাতে।
সকাল দশটায় প্রেজেন্টেশান। স্নান খাওয়া সেরে আমি তৈরি। কিন্তু বৃষ্টিটা যেন হার মানতে চায় না। আমার এত বছরের সমস্ত পরিশ্রমের মর্যাদা পাওয়া না পাওয়া সব আজকের প্রেজেন্টেশানের ওপর। আধসেঁকা পাউরুটির ওপর জ্যাম এর প্রলেপ দিয়ে কয়েক কামড় দিয়ে বৃষ্টি ভিজেই স্টেশনে পৌঁছলাম। "ক্রিপয়া ধ্যান দে, বারিশ কে কারণ ইস লাইন কি সারি ট্রেনে বন্ধ হ্যাঁয়। প্রতিকশা করে, ট্রেন-এ চালু হোনে পে সুচিত কিয়া যায়েগা।" তারপর অপেক্ষা, সাথে বৃষ্টি আর চোখের কোনে জমতে থাকা, ঘাম না জল, কি যেন একটা। কার্ভড স্পেস টাইমের অবাধ্যতার শিকার হলাম আবার। কোনো এক প্যারালাল ইউনিভার্স-এ হয়তো ট্রেনটা সময়মত এসেছিল।
ব্রেকফাস্টের টেবিলে সামনে প্লেটটা টেনে বসলাম,আধসেঁকা পাউরুটিটা আর পাশে জ্যাম এর শিশি । রানু ছুটে এসে বলল, ছাদে কাপড়গুলো মেলে এসেই দিচ্ছি, একটু অপক্ষা কর, বলেই ছুটে সিঁড়ি বেয়ে ছাদের দিকে। বেচারি সারা সকাল কাজের চাপে নাস্তানবুদ। তবু রানুর হাতের মাখানো জ্যাম না হোলে আমি পাউরুটিটা খেতে পারিনা । তাই অপেক্ষায় আমার সমস্যা নেই। হঠাৎ একটা ধপাস শব্দ, সঙ্গে তীব্র আর্তনাদ। সঙ্গে সঙ্গে জ্যামের প্রলেপ দেওয়ার অভ্যাসের সমাপ্তি। আর শুরু অপেক্ষার। হয়ত অন্য কোন প্যারালাল ইউনিভার্স-এ আমি রানুকে বলেছি, আজ তুমি একটু রেস্ট নাও আমি জামাকাপড় গুলো মেলে দিয়ে আসি। হঠাৎ মাথার মধ্যে বীভৎস একটা শব্দ হতে লাগলো, অবিরাম, বিরক্তিকর। কান ঝালাপালা হয়ে যেতে লাগলো, মাথা বনবন করে ঘুরতে লাগলো। একটা টনটনে ব্যাথা ক্রমশ মাথা থেকে কপালে, চোখে ছড়িয়ে পড়ছে। আর টাল সামলাতে না পেরে শরীরটা হাওয়ায় ভেসে গেল, মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়তেই একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুমটা ভেঙে গেলো। অ্যালার্ম ঘড়িটা তখনও বেজে চলেছে। সূর্য্যের আলোটা সোজা জানালা দিয়ে চোখে এসে পড়েছে। হয়তো কোনো এক প্যারালাল ইউনিভার্সে এগুলো একটাও স্বপ্ন নয়! রানু চা এর কাপটা টেবিলে রেখে বোলে গেলো, "অনেক বেলা হোলো উঠে পড়ো, অামি জামা কাপড় গুলো মেলে দিয়ে আসি ছাদে।"