Showing posts with label KOBITA. Show all posts
Showing posts with label KOBITA. Show all posts

Saturday, February 6, 2021

ইন্টার্নাল

রক্তেও যার নড়েনি বিবেক, সেও টুইটিয়েছে কাল!
অন্দরমহলে ঘোর ঘেরাটোপ ম্যাটার ইনটার্নাল।
মাথার ওপর অঙ্গুলি লেহনে অবস হয়েছে ঘিলু,
গ্রে ম্যাটারে টান পড়ছে,
সিস্টেমেটিক্যালি বোকা বানানোর প্রিলুড।

সুদূর প্রবাসে এক নিশ্বাসে কাটিয়ে এসেছো ছুটি,
দল বেঁধে তার শোনো হাহাকার, বিকিয়েছে রুজি রুটি।
তোমার আমার দায়বদ্ধতা চাপা পড়ে আছে ট্রামে,
তবুও নতুন সূর্য উঠবে ঝরে পড়া রক্ত ঘামে।

Saturday, December 26, 2020

এবং

আমি এবং,
মেঘের বুকে গল্প গড়া, বর্ষা না-নামা চিঠি,
শীতের সকালে ঝরে পড়া, কুয়াশার নাম না লেখা অবয়বে,
জানলার ওপর ঝাপসা হতে থাকে দিন দিন তার পুঙ্খানুপুঙ্খতা।
 
আমি এবং,
আমার সবুজ ঘাসে ভেজা মাঠ,
লুটোপুটি খাওয়া, বাধ না মানা,
আবেগঘন সন্ধ্যার বুকে তোমার চোখটিপে হাসা,
সূর্যাস্তের নীলিমা মাখা অন্ধকারে আজও ভাস্বর।
 
আমি এবং,
আমার পাখিডাকা, গাছের নীচের ছায়া,
দিগন্তব্যাপি চরাচর বেয়ে হাত বোলানো রোদ জল কাদা মাখা আমাদের সকাল দুপুর সন্ধ্যের কলকাকলি,
ভীড় রাস্তা, বাস ট্রাম, জনজোয়ারের ভীড় ঠেলে আজও ভাটিয়ালি গায়।
 
আমি এবং,
আমার লেপমুড়ি দেওয়া ভোর,
রোজ সকালে কুয়াশা মাখি, রৌদ্রস্নান করি,
কুয়াশা ভেজা মেঘের পাল্লার বুকে আঁচড় কাটি,
লেপমুড়ি ভাঙা রৌদ্রস্নানে আজও তার ছোঁয়া,
অভিমানি জ্যোৎস্না মাখা নিশুতি রাতে আজও ঠাঁই, পাহারাদার। 
 
শেষ সম্বল টুকু দিয়ে আঁকড়ে ধরা জানালার পাল্লা, ঘাসের ডগা, মোলায়েম পাতার বুক বেয়ে ঝরে পড়ার আগেও বলে যাওয়া,
যে কাল গেছে তা গেছে,
সামনের আঁকাবাঁকা গলিপথ বেয়ে যে অদূর ভবিষ্যৎ,
তা তোমার, তা আমার, এবং....।

Saturday, November 21, 2020

হাল ছেড়ো না বন্ধু

আজকে সে নাহয় জিতেই গেছে, কাল অবধিও হারতো,
কালকে রাতেও এগিয়ে যাওয়ার হাল ছেড়ে দিতে পারতো। 
 
আজকে নাহয় সুর সেধেছে, কাল অবধিও ছড়িয়েছে,
কালকে রাতেও হারমনিয়াম টা এপাশ ওপাশ গড়িয়েছে।
 
আজকে নাহয় পান চিবিয়েছে, কাল অবধিও খসেছে চুন,
কালকে রাতেও পাড়ার রকে ডান্স করেছে সেজে মিঠুন।
 
আজকে নাহয় ধ্রুবতারা চিনে খুঁজে নিয়েছে হাঁটার পথ,
কালকে রাতেও কালপুরুষকে দেখে বলেছিল ঐরাবৎ।

Friday, October 30, 2020

স্পর্শকাতর

আজকাল দিন বড়ই শক্ত, আবেগ জমে পাথর,
রোদ জল হাওয়া আমিষাশী, শিশির স্পর্শকাতর।
পায়ের নীচে ঘায়ের জমি, গায়ে বালি কিচকিচ,
হাত ছুঁয়ে গেছে আলকাতরা, আঙুল ভরা পিচ।

মাথার উপরে উড়ে যায় পাখি, ভয়-ময় মাথা ঢাকি,
বৃষ্টির ছাঁট, বন্ধ কপাট, আড়ালে আবডালেই থাকি।
শ্বাসবায়ু বিষ, ধারালো ধান-শিষ, পেট কাটে সিঁধ চোর,
সময়ের বুকে, গাড়ি ঘোড়া ঠুকে, যে যার দিচ্ছে দৌড়।

আঙুলে আঙুল ছুঁলে ঘাম জমে হাজা, প্রেম ট্রেম-এ লকডাউন,
চোখে চোখ পড়ে, রাগে গরগরে নেশা বুঁদ বি-টাউন,
হাথরাস, ফ্রান্স ঘুরে শীতঘুম দিয়ে দিব্যি গায়ে আতর,
তুমি আমি আমরা সবাই কোলেস্টেরল, ঘুম যে স্পর্শকাতর।

Monday, March 2, 2020

ফুটনোট

টুকরো ছেঁড়া স্বরলিপি, একঘেঁয়ে তাল, বেসুরো গান,
মেঘ জমা ওই আকাশ জুড়ে জমতে থাকে মান'ভিমান।
কাগজে মোড়া আকাশ কুসুম, ভাসিয়ে নিলো চোখের জল,
রঙিন খামে, শেষ চিঠিতে, ফিরিয়ে দিলাম, তাজমহল।


তির ছেড়েছে কাঠের ভেলা, বান উঠেছে, মাঝ সাগর,
ঝড়ের তোড়ে পাল ছিঁড়েছে, ছোট্ট নাও ও আধ পাগল,
সাগরপাড়ে আছড়ে পড়া টুকরো কাঠের বুক চিরে,
উঁকি মারে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন, ঢেউয়ের ভিড়ে।

শেষ স্তবকে গুছিয়ে রাখা আবেগ গুলোর আজ ছুটি,
কার্বনেটের অধঃক্ষেপে বুদবুদ ওঠে খুনসুটি,
মেঘ মল্লারে নির্ঘোষ ছাড়ে বারবার দুঃক্ষযাপন,
লাগাম ছেড়ে, বেয়াক্কেলে, আবার নতুন ভিৎস্থাপন।

Friday, December 20, 2019

দাহ্য

তুমি হাওয়া হয়ে ভেসেছ আসমানে,
আমার তো দেশ আছে, তোমার কে জানে!
মাটিতে মিশেছে দেহ, জাতিতে মেশেনি,
লোক ভাষা সংস্কৃতি, থালা বাটিতে মেশেনি,
কলমে ভাঙানো শোক, নিভু নিভু আলো,
কাল সব এক ছিল,
আজ তুমি বড্ড খারাপ আমি কিন্তু ভালো।


ঢের হোলো সারকাস্ম,
শিরদাঁড়াহীন মানুষের ভালো থাকার নাটক,
ঢের হয়েছে অপেক্ষা ওরে আচ্ছে দিনের চাতক,
সন্ধ্যে ঘনালো,
রাত্রি নামার আগে যদি একটিবার মর্মান্ধতা ছাড়ো,
আগুন লাগার আগে দাহ্য ধর্মকে পুড়িয়ে ফেলতে পারো!

Monday, October 28, 2019

পথ

যে পথ নিয়েছো বেছে,
সে পথের ফুল যেমন তোমার, কাঁটাও তোমার,
সে পথের ধারের সর্ষে বাগানও তোমার, ফণীমনসাও।

তুমি সেই পথের পথিক, তুমিই কারিগর,
তুমিই শিক্ষানবিশ, তুমিই শিক্ষক।

নিজেকে পথের ওপোর লোপাট করে ফেলে দেওয়া তুমি,
পথ ধরে ছুট্টে বেড়ানো তুমি,
দিন রাত, ভালো মন্দ, পাওয়া খোয়া,
তুমি আর পথ এখন একাকার।

যখন বেছেছিলে, পথ তোমার ছিল,
এখন পথের তুমি।

Thursday, September 26, 2019

বিহাইন্ড দ্যা সিন

পাশবালিশের কবর খুঁড়ে, সরিয়ে মাটি,
অশ্রুভেজা ঝাপসা চোখে, একটু হাঁটি,
জলকাদাময় রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে আছে,
কাঁপুনি দেওয়া গা ব্যাথা জ্বর, বেশ ছোঁওয়াচে
তোমার আমার কাটানো সময়, ঝগড়াঝাটি,
কান্না হাসি, ভালো মন্দ, রান্নাবাটি,
এসেছি ফেলে বে আক্কেলে, বিহাইন্ড দ্যা সিন,
ফের দেখা হবে, যদি পাই কভু টাইম মেশিন।

Tuesday, February 5, 2019

প্রোটোটাইপ

কিছু পাংশু হতে থাকা মিছিলের মুখ আজও কথা বলে,
না বলা কথা কিছু গোপনে লোকানো আছে খোয়াই নদীর জলে,
ঘুম ভাঙা শহরের আলসেমি ভরা আকুতি যদি শোনো,
মিলেমিশে এক হয়ে যায় ক্ষোভ, দারিদ্র্য, প্রেম, ঈর্ষা, স্নেহ।

কোনো টনিকে সেরে ওঠেনি জ্বর, হাড় মাসে উই ধরেছে কবে,
রোদ উঠলে এলিয়ো তুমি গা, আমায় আবার ট্রেন ধরতে হবে।
একটা রিং কোরো, ঘুমকাতুরে ফুস্মন্তরে যক্ষা যদি সারে,
কথা দিলাম ভিড়ের মাঝেও আমিই প্রথম আসবো তোমার দ্বারে।

এখনও বিরহ আসে,
ডানা ঝাপটানো অনুভূতি গুলো ঘুঙুর পায়ে ঘুরপাক খায় আমাদেরই আসেপাসে,
ভোরের কুয়াশার মত জমতে থাকে মনের ডগায়,
আমরা ভাবি চোখের কোণে তার বাসা,
দিন ক্ষন দেখেনা প্রেম, বাধ মানেনা বেবাক ভালবাসা।

Thursday, December 27, 2018

ফাঁস

পাস কাটিয়েছে রাজা,
যুদ্ধ শেষে বুকফাটা শোক, ভেজা মাটি তরতাজা,
ছিন্নভিন্ন পড়ে আছে শব, তির ঢাল তরবারি,
কেও ফেরেনি ঘরে, রাঙা বাস পরে, ওত পেতে সংসারী। 


দল ভেঙে, জমে থাকা লাল মাটি বেয়ে গরু চরে,
লাঙলের ফালি, বুক চিরে কবে দুমুঠো অন্ন আনবে ঘরে!

বস্ত্রহীন রুগ্ন শিশু রাস্তার 'পরে ছুটে যায় আনমনে,
নীলাকাসে থ মেরে থাকা বুবুক্ষু বাজ, নিঃশব্দে 'মাদ গোনে।

যেখানে মাছের বাজার ছিল, আজ আঁশ তুলে চাটাচাটি,
চুল্হায় সদ্য আগ-নেভা ছাই, দোমড়ানো ভাঙা থালা বাটি,
হটাৎ দূরে ভেজা মাটি চিরে মুখ তুলেছে ধানের শিস,
আনমনা শিশু, ঘাড় মটকিয়ে মুখে পোরে, পুঁজিবাদ বলে আমায় দিস।

Monday, October 1, 2018

The plethora thus continues

Embark life, embrace the embodied emotions,
the empathic joy in countless duels of success and failure,
the turmoil in peace,
the plethora of life thus continues.

The thickening clouds bursts, the mischief unfold,
pondering over getting wet is a delay you can't afford.
You see the tunnel, go and hide, or conquer if you dare.

Roll up your sleeves, you are strong,
you have flesh, bone, muscles,
you have brain, spine, blood,
you have anger, anguish, fear, awareness,
you smile, you laugh, you cry, you yell, you yawn, you gasp,
you think, you have ideas,
you wait, you have patience,
you help, you have kindness,
you move on, you have self respect,
you fight, you have the sense of right or wrong,
you talk, you share, you roam, you dare,
you have all what it takes to thrive,
and the control, is all it needs,
and the will to do is all you need to garner.

Your eyes talk to each other over tears,
your ears hear them cry,
your skin touches all along its journey,
your hands clean them up,
your soul ask you to stand up again,
your pumping heart beat let you know
blood is still running through your veins,
and it takes an instance to decide, to survive or to loss.

You are nowhere certain,
never within your comfort zone,
not an inch is gifted to you,
you need to give an ounce for an ounce,
and at the end you win nothing but moments,
live those, cherish those and get ready for another.

The sun rises, the day comes,
slowly the dusk prevails and night embraces,
and the plethora of life, thus always continues,
always challenging you to dare, to fight and to win.

Tuesday, August 28, 2018

কাটলে পড়ে রক্ত!

চাপ পড়লে ব্যাথা লাগে, কাটলে পড়ে রক্ত!
রাগে রক্তচক্ষু, লজ্জায় মুখ লাল, আজও কি হয়!
আজও কি হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠো, ভয় পেয়ে?
আজও কি বুকটা চিনচিনিয়ে ওঠে, সমবেদনা জাগে!
ভোরের ভৈরবী গেয়ে যাওয়া পথিকের গানে জাগে প্রাণ?
আজও কি খোঁজো জীবনের মাঝে সুখ আনন্দ ভাব ভালবাসা?



বিস্ময় জাগে, কিভাবে বদলে গেছে সব,
ব্যাস্ততার টালবাহানায়, জীবনের সাতে পাঁচে মস্তিষ্ক আজ জড়।


জানি আজও ভোরের আলো ফোটার আগেই তুমি উঠে পড়,
ভোরের মাড়ুলি সেরে কাঠের উনান পাতা চালা,
শিশির ভেজা তুলসীমঞ্চ,
আজও ধুয়ে মুছে সাফ কর তুমি।
দুমুঠো ভাতের জোগাড় কর,
কলসি ভরে গাঁয়ের পথ বেয়ে জল ভরে আনো,
- কিসের টানে!


যে গল্প কোথাও লেখা নেই, তার ইতিহাস শুধু অদৃষ্টই জানে।


শহরের রাস্তা ধরে বাঁচা মরার লড়াই চলে রোজ,
রাস্তার যানজটে মুখ বাড়িয়ে দেখো,
তার চেয়েও বড় জট লাগা, সম্পর্কগুলো, ঝাপসা।


রোজ অচেনা, অফিস যাওয়া লোকগুলো চোখ পড়লেই মুচকি হাসে,
ভিড় বাসে বসে থাকা লোকটা তোমার নাজেহাল অবস্থা দেখে বলে, 'দিন ব্যাগটা আমি ধরি',
চায়ের দোকানের কুকুরটা তোমার ছুঁড়ে দেওয়া বিস্কুটের জন্য তোমায় দেখলেই লেজ নাড়ে,
তুমি এদের কাউকেই কি চেনো?


সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে খবরের কাগজটা ওলটপালট,
খেলার পাতা সেরে সোজা চলে যাও শব্দছকে,
রোজ দুপুরের চলনসই খাবারের পর নিয়ম করে মুখশুদ্ধি,
ফেরার পথে মাঠের ধারে একটু দাঁড়িয়ে ছেলেগুলোর ফুটবল খেলা দেখো,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটার খেলা খুব ভাল লাগে না তোমার!
ও যখন রাইট উইং ধরে ড্রিবল করে, তুমি ওকে বাহবা দাও,
ও তোমায় দেখে মুচকি হাসে।


হঠাৎ তুমি বড় পোষ্টে চাকরি পেলে,
গাড়ি করে অফিস যাও,
তারপর বিদেশি ডেলিগেটস দের সাথে গরম কফি,
চায়ের বালাই আর নেই,
কুকুরটা আজ হয়তো অন্য কারুর জন্য লেজ নাড়ে।


ম্যাগাজিনটা উল্টেপাল্টে দেখো ঠিকই,
খেলা শব্দছকের নেশাটা আর নেই।
দুপুরের লাঞ্চের শেষ পাতে রোজ রকমারি ডেসার্ট।


অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাফিকে যখন তোমার গাড়িটা দাড়াঁলো,
ডান উইং দিয়ে ড্রিবল করে গোলে রাখা বলটা ছিটকে এসে লাগলো তোমার গাড়ির কাঁচে,
আজ তুমি বাহবা দিলে না,
রেগে সজোরে বলটা মেরে উড়িয়ে দিলে ভিড় রাস্তার মাঝে,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটা আজও তোমার দিকে তাকিয়ে,
শুধু মুখের মিষ্টি হাসিটা আজ নেই।


সত্যি বল, আজও কি কোথাও এই সম্পর্কগুলো আছে বেঁচে,
কংক্রিটের রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া চড়েও কি আজও মাটির গন্ধটা নাকে ভাসে?
শরীর কাটলে আজও রক্ত পড়ে, জানি,
কিন্তু সম্পর্কগুলো!

Saturday, April 14, 2018

Aweধর্ম

পরনে তোমার স্বচ্ছ বসন, গর্ব গায়ের রঙে,
তোমার নাকি ওঠা বসা দেবদেবীদের সঙ্গে!
একহাতে অস্ত্র ছিল আরেক হাতে ধ্বজা,
ধর্মের মুখোশ এঁটে, মুখ লোকানো সোজা।


রাষ্ট্র, রাজ্য, ডেমোক্রেসির লোকদেখানো ছুতোয়,
ষড়রিপুতে টান পড়লে, ধর্মের ষাঁড়ও গুঁতোয়।
ধর্মের হাতে আগুন, পাশে মানবতার চিতা,
মন্দিরে ঈশ্বর ছিল, পাশে নিষ্পাপ ধর্ষিতা।

Tuesday, April 3, 2018

সাম্প্র-দায়ী-কে

কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে, ঝাঁঝরা বুলেট, গনগনে ইঁট,
রোজসকালে সবজি বেচি, আমি নাকি সাম্প্রদায়িক!
বাম হাতটা ঝলসে গেছে, পিঠটা অবস, নাকটা ভোঁতা,
লুটিয়ে আছে রাস্তা জুড়ে মানুষ, সাথে মানবতা।

জিতছে রাম, জিতছে রহিম, জিতছে ভীরু ধর্মবেসি,
জ্বলছে মানুষ, মরছে মানুষ, আর পুড়ছে ডেমোক্রেসি।
মানুষ এখন শুধুই ভোটার, দুদিন রাজা, বাকিটা সময় ফেউ,
সবাই নিজের দল বেছেছে, মানুষের হয়ে দল বাছেনি কেউ।

যাদের হয়ে রাস্তায় নামো, যাদের কথায় অস্ত্র ধর হাতে,
গোপনে তারা গুছিয়ে নিয়েছে, মিটিয়ে নিয়েছে একে অপরের সাথে।
নামকরা রাস্তা-ঘাটে সুরক্ষিত, শ্যোণ নজরে যাদের সিংহাসন,
যারা মরছে, যারা কাঁদছে, যারা ঘরছাড়া, তারা কিন্তু সবাই জনগণ।

সাম্প্রদায়িকতা, ডিভাইড এন্ড রুল, ভেঙে ফেলা ভাই ভাই কে,
স্বার্থসিদ্ধির মুচকি হাসে যারা, তাদের শুধাও সাম্প্র-দায়ী-কে!

Friday, February 9, 2018

দেখা হবে অনুসন্ধানে

একদিনে সব পেয়েছিলে, একদিনে হারয়েছ সব,
জেনো কেও মনে রাখবেনা, ফেলে আসা ব্যাথা, অনুভব।
একদিনে ক্ষোভ জমেছিলো, একদিনে ভেঙেছিল দ্বার,
জেনো যবে আলো জ্বলবেনা, ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে হবে সার। 


ঘসামাজা দোমড়ানো ঘাসে, জানি কেও মুছেছিলো পা,
শিশির আজো জমে ঘাসে, পায়ে তার দগদগে ঘা।
অনেকটা পথ চলা বাকি, কথা দেওয়া, একসাথে হাঁটা,
ছোটো ছোটো পা ফেলে দেখো, নিমেষে কাটে সন্ধ্যাটা।
 

ধ্বস নামে সময়ের ভাঁজে, টিকটিক করে ডাকে কেও,
বুদবুদে আজও ভেসে আসে, ওলটানো সময়ের ঢেউ।
টিমটিমে তারাদের ভেরি, আজো ভাসে আসমানি গাঙে,
তোমায় তো কথা দেওয়া আছে, দেখা হবে অনুসন্ধানে।

Wednesday, November 1, 2017

আশ্রয়

বয়ে চলা সময়ে স্নান সেরে, সাফ, পরিপাটি,
বালি ঝরা পাড় বেয়ে সাবধানে পা টিপে হাঁটি।
এজলাসে গলা ছাড়ে মালকোষ ভাটিয়ালি গান,
রোদে ছ্যাঁক করে ওঠে ঘুমন্ত মান অভিমান।
কপিবুক মাঝমাঠে, গ্যালারিতে রমরমে আর্ট,
সারা শীত পার হোলো গায়ে দিয়ে তোর দেওয়া শার্ট।

Thursday, July 27, 2017

নস্টালজিয়া

বেঁচে থাকা মুহুর্তরা, ফেলে আসা সময়ের কাছে ঋণী,
তুমি আমায় ভুলে গেলেও, আমি কিন্তু আজও তোমায় চিনি।
 
সেই ক্লাসরুম কথা কয়, ভয়, অনুভূতি, স্পন্দন, নিশ্বাসে,
কত স্বপ্ন ভাঙে গড়ে, সেই পথ ধরে, কত যায় কত আসে।
 
বারান্দায় উঁকি মেরে যায় আজও রোদ্দুর, বর্ষার জল, কাক,
ছুটতে থাকা সময় নাহয় আরও কিছুদিন আমার কাছে থাক।
 
কত সময় ঢাকা পড়ে আছে, চারিদিকে, দেওয়ালে দেওয়ালে,
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ, আজও জেগে ওঠে আঙুল ছোঁয়ালে।

Saturday, July 8, 2017

মড়ক

সারাদিন ধরে টুপুরটাপুর, চিনচিন করে পা,
ফ্যানের হাওয়ায়, মাথা ঘুরে যায়, বোধয় দুর্বলতা।
শুনি কানাঘুষো, আর পোস্ট করা যাবে না ফেসবুকে,
ধর্মের মাছি, ছুটে আসে পচা সমাজের গন্ধ শুঁকে।


কাদা কিচকিচ, জমা জলে মসা, মাছি, নোংরা সড়ক,
জলে ভিজে জ্বর, বমি রাতভর, কলেরা, বুঝি মড়ক,
আমি সমাজ, আমার খবর কখনো রাখেনি কেউ,
আধ ক্রোস দূরে, নিরব ভুতুড়ে গ্রামে নাকি কারফিউ!

Thursday, May 4, 2017

আকাশবাণী

আকাশে বাতাসে, জোট বেঁধে আছে, ধোঁয়ায় কালো আজ চারিদিক,
পোড়া কঙ্কালে, জোরে ধমকালে, লাল হয়ে ওঠে বায়োপিক।
শ্লেষ মাখা গায়ে, যদি মন চায়, ঝাঁপ দিয়ো ঘন বর্ষায়,
মুখ- কালো দাগ, গনগনে রাগ, ফেলে রেখে এসো দরজায়।


নিভু নিভু টুনি, মন্দ্রাতেও শুনি, লাল কালো মেখে অভিমান,
পিলে চমকায়, কাঁপে শঙ্কায়, তাও যদি সময়ে ফেরে জ্ঞান।
বিবর্তনের চাকা, থামেনি এখনো, আজও নাব্য পুরানো বন্দর, 
কেটে ফ্যালো লেজ, নাহলে সতেজ আজো লংকার বুকে সুন্দর।

কথা কথা প্রেম, এক ঝাঁক পাখি, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, বেড়ায় ঘুরে,
খোলা ব্যালকনি, ঝাপসা চাহনি, সন্ধ্যা নামছে আকাশ জুড়ে।
সোঁদা সোঁদা ঘ্রান, ভেজা ভেজা মাটি, লোডশেডিং এ ছন্দপতন,
জানলার পাশে, গান ভেসে আসে, ঘন লিমেরিক- ঠিক তোমার মতন।

Tuesday, April 18, 2017

স্পেসাল অফার

বকলমে দুকলম আচঁড় কেটেছে চিন্তাগুলো ক্যানভাসে,
ট্রাফিক আইন, মানছো কি না, হুলস্থুল এজলাসে।
পেশাদার তুমি, তোমায় নিয়েই দিবারাত্রির কাব্যি হোক,
নর্দমা ঘেঁটে, কাদা পাঁক মেখে, নাচছে তোমার পাড়ার লোক।
চিড় ধরেছে, রক্তে রন্ধ্রে, কশেরুকায়, অস্থি মজ্জায়, গ্রে সেলে,
আপাদমস্তক উই ধরেছে, ভাটা পড়েছে আক্কেলে।
 
না, আমি দুধ কলা মাখি, কালসাপ পুষি না,
শিরদাঁড়া ভেঙে, খিদের চোটে আঙুল চুষি না।
কলপ কালো চুলের আড়ালে বদন ঢাকে যারা,
লাইফটাইম গ্যারান্টি সহ, পোর্টেবল, ল্যামিনেটেড শিরদাঁড়া।
স্পেসাল অফার, ভিড় জমেছে, বিগ বাজারে, শপার্স স্টপে, ফুটপাতে,
সরীসৃপের জাত চেনা যায় ছোবল মারা বিষদাঁতে।