মেটাস্টেবিলিটি তে আটকে আছে সব, আমরা, আমাদের জীবন, আমাদের জীবনধারণ সব। সিস্টেমটাকে পার্টার্ব করে তার স্থায়িত্ব পরীক্ষা করার ইচ্ছা বা অবকাশ কোনটাই আমাদের নেই। পোটেনসিয়াল ব্যারিয়ারটা ক্রমশ বাড়ছে, বেড়েই চলেছে।
বছরের প্রথম বৃষ্টির কথা মনে পড়ে! হঠাৎ আকাশ ভেঙে রুপোলী ধারা নেমে আসতে দেখে, হাত বাড়িয়ে কয়েক ফোঁটা তালুবন্দি করা। তারপর সেই তালুবন্দি জলকণা নিয়ে আহ্লাদে মাখামাখি, কিছুক্ষণ। মিনিট খানেক পর, কোথায় আহ্লাদ, কোথায় জলের রুপোলী কণা, আর কোথায় সেই আনন্দ। আসতে আসতে বন্ধ হয় দরজা জানালা। সময়ের সাথে কাদা, জমা জল-এ জেরবার সব। যারা সেই জলকাদা মাড়িয়ে ক্ষেতে ফসল ফলায়, শুধু তাদের জন্যই আজও আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
হররোজের ঠিকানা ছেড়ে একটা সকাল ধার নিয়েছিলাম সময়ের কাছে। জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুকের মোহ ছেড়ে একটা সকাল আস্তানা গেড়েছিলাম ভৈরবীর সুরে বাউলের দলে। মিঠেকড়া রোদের আনন্দের পরও দুপুরের রোদে চামড়া পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম। তারপর সন্ধ্যের স্নিগ্ধ আলোতে আধময়লা শরীরটাকে ভাসিয়ে দেব সাগরে, এটাই ছিল অভিপ্রায়। যেটুকু সবার চাহিদার বাইরে সেরকম একটা চাহিদা হয়তো আমারই জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে, এই ভেবে। সবে মিঠেকড়া রোদের আরামের পর চামড়ায় টান ধরছে, হঠাৎ বৃষ্টি নামল, থামল না আর। সেই বৃষ্টি তেই পুড়ল, চামড়া নয়, সময়ের কাছে ধার নেওয়া একটা দিন। পরের দিন থেকে আবার আমরা সবাই এক, সেই জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুক, সব নিয়ে এগোতে থাকল সময়।
বাড়ির পেছনের দিকের রাস্তাটায় কেও কোনদিন যায়নি, জঙ্গলে একসা হয়ে আছে। বাচ্চাসুলভ আবদার করেছি ছোটবেলায় অনেকবার, ওই পথটায় যাওয়ার। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। সময়ের সাথে বড় হয়েছি আর জেনেছি যে পথটা বিপদসংকুল। একদিন জেদ চেপে বসল। সবার অলক্ষ্যে হাঁটা লাগালাম। কিছুটা জঙ্গলের ভেতরে এগোতেই পাখির ডাক শুনতে পেলাম। এরকম মিষ্টি ডাক তো আগে শুনিনি কোনদিন। সেই ডাক যেন আমাকে আরও এগিয়ে যেতে বলছে। এগোতে লাগলাম। জঙ্গলের কাঁটায় ছড়ে যেতে লাগলো আমার শরীর। তবু আমি অগ্রগামী। হঠাৎ একটা গাছের দুটো পাতা খসে পড়ল আমার ক্ষতের ওপর। নিমেষে জ্বালা কমে গেল ছড়ে যাওয়া ক্ষতের। ওপরে তাকাতেই চোখে পড়ল গাছের ওপর সুন্দর সুন্দর ফুল। এরকম সুন্দর ফুল তো আগে দেখিনি। ফুলের গন্ধে আমার নেশা হয়ে গেল। আমি পাগলের মত, নেশায় বিভোর হয়ে এগোতে লাগলাম। একটার পর একটা উপলব্ধি আমাকে বিস্মিত করে দিতে লাগলো। হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়লাম, আমার বিছানায়। না এতো স্বপ্ন হতে পারে না। ওই রাস্তা আমাকে ডাকছে। আরামের বিছানা ছেড়ে, পেছনের দরজা খুলে জঙ্গলে ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই দেখি সামনে একটা জগদ্দল পাষাণ। আমার একার পক্ষে এটা সরানো সম্ভব নয়। পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আবার দরজাটা আগের মত বন্ধ করে দিলাম। তারপর থেকে রোজের নিয়মে আবার সামনের দরজা দিয়ে, কেটে যাচ্ছে জীবন। এখনো প্রশ্নটা জাগে, ওই পাষাণের পেছনে সত্যি কি সুন্দর একটা দুনিয়া আছে!
কোন একদিন কোন এক নোংরা মেটাস্টেবিলিটির নালায় পড়ে শুধু মাত্র ইচ্ছা আর উদ্যমের অভাবে, দম আটকে শেষ হয়ে যাবে, আমি, আমরা, আমাদের সব।
বছরের প্রথম বৃষ্টির কথা মনে পড়ে! হঠাৎ আকাশ ভেঙে রুপোলী ধারা নেমে আসতে দেখে, হাত বাড়িয়ে কয়েক ফোঁটা তালুবন্দি করা। তারপর সেই তালুবন্দি জলকণা নিয়ে আহ্লাদে মাখামাখি, কিছুক্ষণ। মিনিট খানেক পর, কোথায় আহ্লাদ, কোথায় জলের রুপোলী কণা, আর কোথায় সেই আনন্দ। আসতে আসতে বন্ধ হয় দরজা জানালা। সময়ের সাথে কাদা, জমা জল-এ জেরবার সব। যারা সেই জলকাদা মাড়িয়ে ক্ষেতে ফসল ফলায়, শুধু তাদের জন্যই আজও আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
হররোজের ঠিকানা ছেড়ে একটা সকাল ধার নিয়েছিলাম সময়ের কাছে। জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুকের মোহ ছেড়ে একটা সকাল আস্তানা গেড়েছিলাম ভৈরবীর সুরে বাউলের দলে। মিঠেকড়া রোদের আনন্দের পরও দুপুরের রোদে চামড়া পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম। তারপর সন্ধ্যের স্নিগ্ধ আলোতে আধময়লা শরীরটাকে ভাসিয়ে দেব সাগরে, এটাই ছিল অভিপ্রায়। যেটুকু সবার চাহিদার বাইরে সেরকম একটা চাহিদা হয়তো আমারই জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে, এই ভেবে। সবে মিঠেকড়া রোদের আরামের পর চামড়ায় টান ধরছে, হঠাৎ বৃষ্টি নামল, থামল না আর। সেই বৃষ্টি তেই পুড়ল, চামড়া নয়, সময়ের কাছে ধার নেওয়া একটা দিন। পরের দিন থেকে আবার আমরা সবাই এক, সেই জানলা দিয়ে এসে পড়া রোদে গা সেঁকা, কাঠের টেবিলের ওপর রাখা চিনামাটির চায়ের কাপে চুমুক, সব নিয়ে এগোতে থাকল সময়।
বাড়ির পেছনের দিকের রাস্তাটায় কেও কোনদিন যায়নি, জঙ্গলে একসা হয়ে আছে। বাচ্চাসুলভ আবদার করেছি ছোটবেলায় অনেকবার, ওই পথটায় যাওয়ার। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। সময়ের সাথে বড় হয়েছি আর জেনেছি যে পথটা বিপদসংকুল। একদিন জেদ চেপে বসল। সবার অলক্ষ্যে হাঁটা লাগালাম। কিছুটা জঙ্গলের ভেতরে এগোতেই পাখির ডাক শুনতে পেলাম। এরকম মিষ্টি ডাক তো আগে শুনিনি কোনদিন। সেই ডাক যেন আমাকে আরও এগিয়ে যেতে বলছে। এগোতে লাগলাম। জঙ্গলের কাঁটায় ছড়ে যেতে লাগলো আমার শরীর। তবু আমি অগ্রগামী। হঠাৎ একটা গাছের দুটো পাতা খসে পড়ল আমার ক্ষতের ওপর। নিমেষে জ্বালা কমে গেল ছড়ে যাওয়া ক্ষতের। ওপরে তাকাতেই চোখে পড়ল গাছের ওপর সুন্দর সুন্দর ফুল। এরকম সুন্দর ফুল তো আগে দেখিনি। ফুলের গন্ধে আমার নেশা হয়ে গেল। আমি পাগলের মত, নেশায় বিভোর হয়ে এগোতে লাগলাম। একটার পর একটা উপলব্ধি আমাকে বিস্মিত করে দিতে লাগলো। হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়লাম, আমার বিছানায়। না এতো স্বপ্ন হতে পারে না। ওই রাস্তা আমাকে ডাকছে। আরামের বিছানা ছেড়ে, পেছনের দরজা খুলে জঙ্গলে ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই দেখি সামনে একটা জগদ্দল পাষাণ। আমার একার পক্ষে এটা সরানো সম্ভব নয়। পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আবার দরজাটা আগের মত বন্ধ করে দিলাম। তারপর থেকে রোজের নিয়মে আবার সামনের দরজা দিয়ে, কেটে যাচ্ছে জীবন। এখনো প্রশ্নটা জাগে, ওই পাষাণের পেছনে সত্যি কি সুন্দর একটা দুনিয়া আছে!
কোন একদিন কোন এক নোংরা মেটাস্টেবিলিটির নালায় পড়ে শুধু মাত্র ইচ্ছা আর উদ্যমের অভাবে, দম আটকে শেষ হয়ে যাবে, আমি, আমরা, আমাদের সব।
No comments:
Post a Comment