Tuesday, August 28, 2018

কাটলে পড়ে রক্ত!

চাপ পড়লে ব্যাথা লাগে, কাটলে পড়ে রক্ত!
রাগে রক্তচক্ষু, লজ্জায় মুখ লাল, আজও কি হয়!
আজও কি হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠো, ভয় পেয়ে?
আজও কি বুকটা চিনচিনিয়ে ওঠে, সমবেদনা জাগে!
ভোরের ভৈরবী গেয়ে যাওয়া পথিকের গানে জাগে প্রাণ?
আজও কি খোঁজো জীবনের মাঝে সুখ আনন্দ ভাব ভালবাসা?



বিস্ময় জাগে, কিভাবে বদলে গেছে সব,
ব্যাস্ততার টালবাহানায়, জীবনের সাতে পাঁচে মস্তিষ্ক আজ জড়।


জানি আজও ভোরের আলো ফোটার আগেই তুমি উঠে পড়,
ভোরের মাড়ুলি সেরে কাঠের উনান পাতা চালা,
শিশির ভেজা তুলসীমঞ্চ,
আজও ধুয়ে মুছে সাফ কর তুমি।
দুমুঠো ভাতের জোগাড় কর,
কলসি ভরে গাঁয়ের পথ বেয়ে জল ভরে আনো,
- কিসের টানে!


যে গল্প কোথাও লেখা নেই, তার ইতিহাস শুধু অদৃষ্টই জানে।


শহরের রাস্তা ধরে বাঁচা মরার লড়াই চলে রোজ,
রাস্তার যানজটে মুখ বাড়িয়ে দেখো,
তার চেয়েও বড় জট লাগা, সম্পর্কগুলো, ঝাপসা।


রোজ অচেনা, অফিস যাওয়া লোকগুলো চোখ পড়লেই মুচকি হাসে,
ভিড় বাসে বসে থাকা লোকটা তোমার নাজেহাল অবস্থা দেখে বলে, 'দিন ব্যাগটা আমি ধরি',
চায়ের দোকানের কুকুরটা তোমার ছুঁড়ে দেওয়া বিস্কুটের জন্য তোমায় দেখলেই লেজ নাড়ে,
তুমি এদের কাউকেই কি চেনো?


সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে খবরের কাগজটা ওলটপালট,
খেলার পাতা সেরে সোজা চলে যাও শব্দছকে,
রোজ দুপুরের চলনসই খাবারের পর নিয়ম করে মুখশুদ্ধি,
ফেরার পথে মাঠের ধারে একটু দাঁড়িয়ে ছেলেগুলোর ফুটবল খেলা দেখো,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটার খেলা খুব ভাল লাগে না তোমার!
ও যখন রাইট উইং ধরে ড্রিবল করে, তুমি ওকে বাহবা দাও,
ও তোমায় দেখে মুচকি হাসে।


হঠাৎ তুমি বড় পোষ্টে চাকরি পেলে,
গাড়ি করে অফিস যাও,
তারপর বিদেশি ডেলিগেটস দের সাথে গরম কফি,
চায়ের বালাই আর নেই,
কুকুরটা আজ হয়তো অন্য কারুর জন্য লেজ নাড়ে।


ম্যাগাজিনটা উল্টেপাল্টে দেখো ঠিকই,
খেলা শব্দছকের নেশাটা আর নেই।
দুপুরের লাঞ্চের শেষ পাতে রোজ রকমারি ডেসার্ট।


অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাফিকে যখন তোমার গাড়িটা দাড়াঁলো,
ডান উইং দিয়ে ড্রিবল করে গোলে রাখা বলটা ছিটকে এসে লাগলো তোমার গাড়ির কাঁচে,
আজ তুমি বাহবা দিলে না,
রেগে সজোরে বলটা মেরে উড়িয়ে দিলে ভিড় রাস্তার মাঝে,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটা আজও তোমার দিকে তাকিয়ে,
শুধু মুখের মিষ্টি হাসিটা আজ নেই।


সত্যি বল, আজও কি কোথাও এই সম্পর্কগুলো আছে বেঁচে,
কংক্রিটের রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া চড়েও কি আজও মাটির গন্ধটা নাকে ভাসে?
শরীর কাটলে আজও রক্ত পড়ে, জানি,
কিন্তু সম্পর্কগুলো!

Tuesday, May 22, 2018

দ্য আদার সাইড

মাংসটা তখনো আধসেদ্ধ, এই মাত্র প্রথম সিটিটা পড়েছে। গরম ভাতটা নামিয়ে, টিভিটা চালিয়ে একটু বসলো রূপালি। বাইরের গুমোট মেঘলা ভাবটা কাটিয়ে মৃদু ঠান্ডা হাওয়া বইছে, আশেপাশেই কোথাও বৃষ্টিটা হয়ে গেলো বোধ হয়। আজ রবিবার, সকাল সকাল বাজারটা সেরে পলাশ বেরিয়েছে প্লাম্বার ডাকতে, তাদের বাথরুমের পাইপ বেয়ে চুইঁয়ে জল পড়ছে বেস কয়েকদিন থেকেই। চ্যানেল উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে হঠাত্ চোখটা আটকে গেল একটা লোকাল নিউজ চ্যানেলে। তাদের পাডার মোড় পেরিয়ে আধ ক্রোশ দুরের হাইওয়ের ওপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঝবয়সী এক সুঠাম যুবকের ওপর চডাও হয়ে পিটিয়ে খুন করে পলাতক, লোকাল কিছু গুন্ডা। পুলিশসূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও লাশ সনাক্ত করা যায়নি।

বাইরের ঠান্ডা বাতাশের সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ক্রমে শীতল হলেও এরই মধ্যে রূপালির কপালে ঘাম জমেছে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেল পলাশ বেরিয়েছে, এতক্ষণে তো ফিরে আশার কথা। একটু অধৈর্য ও চিন্তান্বিত হয়েই পলাশের ফোন নাম্বারটা ডায়াল করলো রূপালি। "আপনি যে নম্বরটিতে কল করেছেন সেটি এই মুহূর্তে হয় সুইচড অফ অথবা পরিষেবা সীমার বাইরে। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পরে চেষ্টা করুন।" তারপর প্রেশারকুকারে কটা সিটি পড়েছে তা আর গোনা হয়ে ওঠেনি রূপালির। দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশবার পলাশের নাম্বারটা লাগানোর চেষ্টা করেছে।
আবার টিভির সামনে গিয়ে মুখ গুঁজে বসলো রূপালি। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ছাপিয়ে এখন চড়াম চড়াম বাজ পড়ছে। মাস চারেক আগে বাজ পড়েই তাদের বাড়ির টিভিটা নষ্ট হয়ে যায়। আর সেদিনই বাজপড়ে মারা যায় তাদের পোষা মিরাক্কেল। তারপর থেকেই তাদের ঘরের অলিখিত নিয়ম, মেঘ দেখলেই টিভি বন্ধ করতে হবে আর বাইরে বেরোনো যাবেনা। আজ পলাশ আর রূপালি দুজনেই নিয়ম ভাংলো। আজ আর টিভি বন্ধ হোলো না। হুড়মুড়িয়ে সেই লোকাল চ্যানেলটা খুলতেই দুম করে কারেন্ট চলে গেল। এলোমেলো হাওয়ায় জানালার পাল্লাগুলো ঝনঝন করছে, সাথে প্রেশারকুকারে আরেকটা সিটি। চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে আর তার সাথে রূপালির মনে চিন্তার মেঘ ও।

'মাকে একটা ফোন করি!' মনে মনে ভাবছে রূপালি। ' না না, এখনি ফোন করা ঠিক হবে না, আরো কিছুক্ষণ দেখি'। বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে, সিটি গোনা হয়নি, কুকারটা পাশে নামিয়ে ওভেনটা বন্ধ করলো। তারপর আবার পলাশের নাম্বারটা চেষ্টা করতে গিয়ে দ্যাখে, ফোনটা ডেড। মনে মনে প্রচন্ড রাগ হোলো পলাশের ওপর, 'কতবার বলেছি বাড়ির জন্য একটা মোবাইল ফোন কিনতে, সময়ে অসময়ে ফোন ডেড হয়ে পড়ে থাকে।' এইতো মাসখানেক আগের কথা, পলাশ তখন হপ্তাখানেকের জন্য অফিসের কাজে বাইরে। রাত প্রায় সাড়ে দশটা, হঠাৎ রূপালির বুকে ব্যাথা শুরু হয়। কি করা উচিৎ বুঝতে না পেরে ফোন করে পলাশকে। কিছু বোলে ওঠার আগেই ফোনটা কেটে যায়, তারপর ফোন ডেড। এন্টাসিড খেয়ে রূপালি ঘুমিয়ে পড়ে সেদিন, পরেরদিন তার ঘুম ভাঙে কলিং বেলের আওয়াজে, বাইরে পলাশ দাঁড়িয়ে। চাকরিটা সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও তার জন্য কম খেসারৎ পোহাতে হয়নি পলাশকে।

রাগ ছাপিয়ে ভর করলো চিন্তা, 'না এভাবে তো বসে থাকা যায়না '। ছাতাটা হাতে তুলে নিয়ে, দরজা খুলতে যাবে ওমনি কানে এলো, জোরে জোরে কে যেন দরজা ধাক্কাচ্ছে, অনবরত, জোরে আরো জোরে, যেন পুষে রাখা রাগ অভিমান যন্ত্রণা ঘৃণা আছড়ে পড়ছে কারুর। ভয় লাগতে লাগলো রূপালির। এই ঝড় বৃষ্টি বাজের মধ্যে এভাবে কে, কেন দরজা ধাক্কাচ্ছে, পলাশও বাড়িতে নেই! 'নাহ্ দরজাটা খুলতেই হবে, পলাশের খোঁজটা করতেই হবে, ভয় পেলে চলবে না।' এবার ভয়কে ছাপিয়ে গেলো উদ্বেগ।

দরজা খুলতেই, সামনে দাঁড়িয়ে আধভেজা পলাশ। পলাশ কিছু বলতে যাওয়ার আগেই গর্জে উঠলো রূপালি, 'এভাবে কেও দরজা ধাক্কায়, একটা কলিং বেল বলেও বস্তু হয়। আর ছিলে কোথায় এতক্ষণ, ফোনও বন্ধ। একটা ফোনও তো করে দিতে পারতে, দেরি হবে যখন।' না এরপর আর পলাশ কিছু বলার সুযোগ পায়নি, কেউ পায়না। দৃষ্টির বাইরে, উলটো দিকটায় কি হচ্ছে কেও জানার চেষ্টা করে না। পলাশ মুখ খুলতে যেতেই নিজের মাথাটা পলাশের বৃষ্টিভেজা বুকে গুঁজে দিয়েছিল রূপালি। তারপর ঠান্ডা ভাত আর প্রায় গলে যাওয়া মাংসের ঝোলের যে স্বাদ সেদিন তারা পেয়েছে, তা বোলে বোঝানোর অপেক্ষা রাখে না।

হাইওয়ের দুর্ঘটনায় পথ অবরোধের জেরে আটকে পড়েছিল পলাশ। তারপর মেঘ বৃষ্টি বাজ শুরু হতেই অবরোধ উঠে যায়। আধভেজা হয়ে বাড়ি ফেরে। কলিং বেল বাজায়, কারেন্ট নেই। ফোন করে, ফোন ডেড। তারপর প্রায় আধা ঘন্টা ধরে দরজা ধাক্কাচ্ছে পলাশ, চিন্তায় ভয়ে হাত পা ঠান্ডা, রগ শক্ত হয়ে এসেছিলো তার। শুধু লোকজন জড়ো করে দরজা ভাঙাটাই বোধ হয় বাকি ছিল। 

Thursday, May 3, 2018

হরর স্টোরি

আসিফা, উন্নাও, আসাম আরো কত ঘটনা বিচারের অপেক্ষায়, আছে আর কিজানি আরো কত বছর থাকবে। রিপোর্ট বলছে বিচারকের সংখ্যা নেহাতই কম হওয়ায় বস্তা বস্তা কেস পড়ে পচছে আদালতে আদালতে। বিচারের এভারেজ সময়সীমা এক একটি দশক, যে সময়ের মধ্যে শুয়োঁপোকা প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতে পারে। এরমধ্যে আবার নতুন নতুন বিচারব্যাবস্থার জন্ম হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের রোমিও স্কোয়াড এর রমরমার কথা আগেই শুনেছি, এবার হঠাত জেগে উঠলেন কোলকাতার দাদুরা। বস্তাপচা রোজনামচার বাইরে খোরাক খুঁজে নেওয়ায় কোলকাতার জুড়ি মেলা ভার। তা সে ভাগাড়ের মরা জীব জন্তুর মাংস খাওয়াই হোক কিম্বা মেট্রোয় দাদুদের মোরাল পুলিসিং। 
 
বিকিয়ে যাওয়া মিডিয়া আর পাচাটা চ্যানেলগুলির মুখ সবারই চেনা। মাঝে মধ্যে এন্টারটেইনমেন্টের জন্য চোখ রাখি তবুও। হতাশ হতে হয়নি এখনো অবধি। গুলতানি, মেকিদেশপ্রেম ও জনসেবার বুলি শুনে শুনে বেদ লিখে ফেললাম। হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন, বেদ। মনে করিয়ে দি, বেদের অপর নাম শ্রুতি। বিগ এফএম ও একসময় শুনতাম। সৌভাগ্যবসত এখন আর সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। কোলকাতার নিত্যনৈমিত্তিক এডভেঞ্চারে খুব একটা কান পাতি না আজকাল। তাই মোরাল দাদু দেরও ভাগাড়ের দলে ঠেলে, এড়িয়ে গিয়েছিলাম। হঠাত চোখে পড়লো, বিগ এফএম এর একটি ভিডিও। বিগ এফএম রেডিও ছেড়ে সোজা ফেসবুকে, একটি গল্প নিয়ে। আনকোরা হাতে লেখা, লুপহোলে ভর্তি হলেও গা শিউরে ওঠার মত গল্প। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নামে, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে, রাস্তায় রাস্তায় বিচারব্যাবস্থার সাপোর্টের গল্প। একবিংশ শতকে প্রতিবাদ না করে কুল হওয়ার গল্প। মেট্রোয় সেফ লেডিস জোনে না বসে, দাদুদের কনুই মারার অধিকার দেওয়ার গল্প। সমাজে রেপ কালচার ছড়িয়ে দেওয়ার গল্প।
 
গল্পটি শুনে আমার গা শিউরে উঠেছে, শিক্ষিত উন্নয়নশীল সমাজের মানুষের মধ্যে এই কথাগুলো ওপেনলি ছড়িয়ে দেওয়ার সাহস আরো কত কত সুপ্ত ক্রিমিনালের সাহসে ইন্ধন দেবে তা ভেবে। আরো কত আসিফার জন্ম দেবে এই অগণতান্ত্রিক প্রচারমুখরতা, আরো কত বস্তা জমা পড়বে আদালতে, আরো কত স্বনিয়ন্ত্রিত বিচারব্যাবস্থা তৈরি হবে রাস্তায় রাস্তায়, আর আমরা কি শুধু এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই চ্যানেল খুলে বসবো!

Saturday, April 14, 2018

Aweধর্ম

পরনে তোমার স্বচ্ছ বসন, গর্ব গায়ের রঙে,
তোমার নাকি ওঠা বসা দেবদেবীদের সঙ্গে!
একহাতে অস্ত্র ছিল আরেক হাতে ধ্বজা,
ধর্মের মুখোশ এঁটে, মুখ লোকানো সোজা।


রাষ্ট্র, রাজ্য, ডেমোক্রেসির লোকদেখানো ছুতোয়,
ষড়রিপুতে টান পড়লে, ধর্মের ষাঁড়ও গুঁতোয়।
ধর্মের হাতে আগুন, পাশে মানবতার চিতা,
মন্দিরে ঈশ্বর ছিল, পাশে নিষ্পাপ ধর্ষিতা।

Tuesday, April 3, 2018

সাম্প্র-দায়ী-কে

কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে, ঝাঁঝরা বুলেট, গনগনে ইঁট,
রোজসকালে সবজি বেচি, আমি নাকি সাম্প্রদায়িক!
বাম হাতটা ঝলসে গেছে, পিঠটা অবস, নাকটা ভোঁতা,
লুটিয়ে আছে রাস্তা জুড়ে মানুষ, সাথে মানবতা।

জিতছে রাম, জিতছে রহিম, জিতছে ভীরু ধর্মবেসি,
জ্বলছে মানুষ, মরছে মানুষ, আর পুড়ছে ডেমোক্রেসি।
মানুষ এখন শুধুই ভোটার, দুদিন রাজা, বাকিটা সময় ফেউ,
সবাই নিজের দল বেছেছে, মানুষের হয়ে দল বাছেনি কেউ।

যাদের হয়ে রাস্তায় নামো, যাদের কথায় অস্ত্র ধর হাতে,
গোপনে তারা গুছিয়ে নিয়েছে, মিটিয়ে নিয়েছে একে অপরের সাথে।
নামকরা রাস্তা-ঘাটে সুরক্ষিত, শ্যোণ নজরে যাদের সিংহাসন,
যারা মরছে, যারা কাঁদছে, যারা ঘরছাড়া, তারা কিন্তু সবাই জনগণ।

সাম্প্রদায়িকতা, ডিভাইড এন্ড রুল, ভেঙে ফেলা ভাই ভাই কে,
স্বার্থসিদ্ধির মুচকি হাসে যারা, তাদের শুধাও সাম্প্র-দায়ী-কে!

Friday, February 9, 2018

দেখা হবে অনুসন্ধানে

একদিনে সব পেয়েছিলে, একদিনে হারয়েছ সব,
জেনো কেও মনে রাখবেনা, ফেলে আসা ব্যাথা, অনুভব।
একদিনে ক্ষোভ জমেছিলো, একদিনে ভেঙেছিল দ্বার,
জেনো যবে আলো জ্বলবেনা, ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে হবে সার। 


ঘসামাজা দোমড়ানো ঘাসে, জানি কেও মুছেছিলো পা,
শিশির আজো জমে ঘাসে, পায়ে তার দগদগে ঘা।
অনেকটা পথ চলা বাকি, কথা দেওয়া, একসাথে হাঁটা,
ছোটো ছোটো পা ফেলে দেখো, নিমেষে কাটে সন্ধ্যাটা।
 

ধ্বস নামে সময়ের ভাঁজে, টিকটিক করে ডাকে কেও,
বুদবুদে আজও ভেসে আসে, ওলটানো সময়ের ঢেউ।
টিমটিমে তারাদের ভেরি, আজো ভাসে আসমানি গাঙে,
তোমায় তো কথা দেওয়া আছে, দেখা হবে অনুসন্ধানে।

Friday, January 19, 2018

The other side

As one mystery unfolds another resurrects and this is how the drama of life keeps on amazing us with its twists and turns. Its already the dusk, the night approaching and so as the train, towards its destination, running, galloping, smearing its tiny little existence over the iron tracks of irony mocking at its own parallelism.

The clouds are all over the sky now, droplets of water are forming and gliding over one side of the haze window glasses. Eyes peeping through, towards the approaching murky, cloudy night, are somehow delighted by the contrast with the nonchalance of the inside. Moving and trickling little fingers of innocence all over the window glasses writing some abstract story of the two sides of the glass, so close yet so far, so much in touch yet so different. With time, as the night approaches, as the clouds dense up, as the lights lit up all along the train, the differences keep on increasing, diverging in volume as the night gets more and more darker. The peeping eyes are slowly stepping into the trap of drowsiness, ignoring the diverging contrast of the two sides of the window glass. The abstract scribblings slowly evaporates, the lights slowly gets turned off, and slowly but steadily the differences start getting wiped out. As the morning approaches, the sunshine kisses the other side of the glass, the warmth spreads over the whole glass, the whole window, the whole train, the whole drama of life. 

The train stops, the peeping eyes of the inside get off the train and walk away, what remain are the two sides of the window, with each other, making each other feel their existence, differences, togetherness, getting ready for another hell of a journey of differences.

Wednesday, November 1, 2017

আশ্রয়

বয়ে চলা সময়ে স্নান সেরে, সাফ, পরিপাটি,
বালি ঝরা পাড় বেয়ে সাবধানে পা টিপে হাঁটি।
এজলাসে গলা ছাড়ে মালকোষ ভাটিয়ালি গান,
রোদে ছ্যাঁক করে ওঠে ঘুমন্ত মান অভিমান।
কপিবুক মাঝমাঠে, গ্যালারিতে রমরমে আর্ট,
সারা শীত পার হোলো গায়ে দিয়ে তোর দেওয়া শার্ট।

Thursday, July 27, 2017

নস্টালজিয়া

বেঁচে থাকা মুহুর্তরা, ফেলে আসা সময়ের কাছে ঋণী,
তুমি আমায় ভুলে গেলেও, আমি কিন্তু আজও তোমায় চিনি।
 
সেই ক্লাসরুম কথা কয়, ভয়, অনুভূতি, স্পন্দন, নিশ্বাসে,
কত স্বপ্ন ভাঙে গড়ে, সেই পথ ধরে, কত যায় কত আসে।
 
বারান্দায় উঁকি মেরে যায় আজও রোদ্দুর, বর্ষার জল, কাক,
ছুটতে থাকা সময় নাহয় আরও কিছুদিন আমার কাছে থাক।
 
কত সময় ঢাকা পড়ে আছে, চারিদিকে, দেওয়ালে দেওয়ালে,
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ, আজও জেগে ওঠে আঙুল ছোঁয়ালে।

Saturday, July 8, 2017

মড়ক

সারাদিন ধরে টুপুরটাপুর, চিনচিন করে পা,
ফ্যানের হাওয়ায়, মাথা ঘুরে যায়, বোধয় দুর্বলতা।
শুনি কানাঘুষো, আর পোস্ট করা যাবে না ফেসবুকে,
ধর্মের মাছি, ছুটে আসে পচা সমাজের গন্ধ শুঁকে।


কাদা কিচকিচ, জমা জলে মসা, মাছি, নোংরা সড়ক,
জলে ভিজে জ্বর, বমি রাতভর, কলেরা, বুঝি মড়ক,
আমি সমাজ, আমার খবর কখনো রাখেনি কেউ,
আধ ক্রোস দূরে, নিরব ভুতুড়ে গ্রামে নাকি কারফিউ!

Saturday, June 3, 2017

হাইলি অপিনিয়নেটেড

একটু বাজার গেছিলাম, বরফঢাকা শক্ত নোনা মাছ আর আড়ৎপচা সবজি হেব্বি সস্তায় পেয়েছি, জমিয়ে ভুরিভোজ হবে আজ। না এর চেয়ে দামি আর তো কিছু দেখলাম না বাজারে, লোকজনের ওপিনিয়ন ছাড়া। হ্যাঁ ঐতো রেডিও চালিয়ে তাসের বান্ডিল নিয়ে বসে যারা একহাতে মাছি মারছে আর আরেক হাতে পাছা চুলকোচ্ছে, তাদের জন্য নাকি বাজারে নতুন কিসব আসছে। কে যেন বলছিলো দুজনের সংসারে এমনিতেই খাওয়া জোটে না, এরপর আবার নেশা করে বৌয়ের গায়ে হাতও তোলা যাবে না। বাইচান্স যদি কান্নাকাটি করে ফ্যালে অমনি দুজন থেকে তিনজন থেকে চারজন এভাবে বাড়তে থাকবে সংসার। পাশ দিয়ে যেতে যেতে যেটুকু বুঝলাম, ওরা যারা সংসারের জন্য গরুর মতো খাটছে তাদের জন্য বীফ ব্যান এর মতো সুখবর আছে। তাই আমাদের মতো ছাগলদেরও একটা প্রশ্ন আছে, কোন কোর্টে এফিডেভিট করে ছাগল থেকে গরু হওয়া যায় যদি একটু বলতে পারেন খুব খুব খুব সুবিধে হয়।

উফফ, দুপুরের ভুরিভোজের পর শেষ পাতে আরেকগুচ্ছ টক ঝাল মিষ্টি ওপিনিয়ন হলে মন্দ হয়না। গাছের ছায়ায় দড়ির তাকিয়ে ফেলে রেডিওটা চালাতেই ঢিঞ্চকপূজার গান শুনে মন টা জুড়িয়ে গেল। ব্যাস অমনি ঢিঞ্চকপূজার নাম শুনে তোমাদের মতো উড়নচন্ডী জ্ঞানীগুণীরা নিশ্চই দাঁতে আঙ্গুল চেবাচ্ছো আর ভাবছো, কি চয়েস রে বাবা। বুক ফুলিয়ে বলতে পারি 'ইটস মাহহ চয়েস'। সবাই তো আর সোনু নিগম হতে পারে না, কিন্তু তা বলে কি গান গাইবে না! সুতরাং ঢিঞ্চকপূজার গান যদি কারুর সকালের অ্যালার্ম টোন কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সঙ্গী হয়, তাতে রোদ্দুর রায়ের পাকা দাড়িতে একটিও আঁচড় পড়ার কথা নয়! খামোখা তোমরা নিজেদের ভাব ধারণার বাগানে হিরো আলম এর মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের টেনে এনে তাদের ভাবমূর্তিকে হেয় করো। তুমি ঋত্বিক, সত্যজিৎ, মৃণাল প্রেমী হতে পারো, তা বলে কি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের ভুলটা শুধরে দিয়ে নিজের ছোটবেলার বুনিপ দেখার ইচ্ছেটা চাঁদের পাহাড়ে পূরণ করতে পারবেন না! এটা কাঁহাকার ইনসাফ। হাজার হাজার মিমিক্রি আর্টিস্টের ন্যাকামি, তোতলামি দেখে তোমরা হেসে লুটোপুটি খাবে, ইরফান আর নওয়াজুদ্দিন এর অভিনয় দেখে 'ন্যাচারাল ন্যাচারাল' বলে চিৎকার করবে, অথচ দেবের ন্যাচারাল তোতলামি তোমাদের চক্ষুশূল। এসব তো আর মেনে নেওয়া যায় না। দেশ বিদেশের সমস্ত ছবি দেখার, গান শোনার অবকাশ কারই বা আছে বলতো। প্রীতম এর মিউসিক আর রাজ্ চক্কোত্তির মুভির যুগলবন্দী যে দেশ কাল সংস্কৃতির সীমানা মিটিয়ে দিচ্ছে তার জন্য একটু দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতেও কি পারো না!

সেই চরকির মতো ঘুরতে ঘুরতে সূর্যটা ঈশানকোণে গিয়ে বসেছে, তাতে কি কেও আপত্তি করেছে! অথচ ইংল্যান্ড-এ খেলতে গিয়ে বিরাট কোহলি অনুষ্কার সাথে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, তোমাদের আপ্লিকেশন লেটারটা টেবিলে টেবিলে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, ভোটের চাকা ডান থেকে বাঁয়ে কিংবা বাম থেকে ডায়ে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশ বিভুঁই ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, এমনকি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর আইকন টা ঘুরলেও তোমাদের সহ্য হয় না। ইনটলারেন্স নয়তো আর কি ই বা বলা যায় শুনি। বছর ঘুরলে যখন জিও এর অফার টা শেষ হয়ে যাবে, তখন যদি তোমাদের সম্বিৎ ফেরে। তারপর আম্বানি প্রবাসী হলে গোলগোল চোখ করে প্রশ্ন করো না যে আমাদের ট্যাঁকের টাকা গুলো গেলো কোথায়।

হাজার হাজার ওপিনিয়ন এর রমরমা তোমাদের মধ্যে। ঢাক ঢোল পেটানো থেকে শুরু করে, লাঠি সোটা দিয়ে পেটানো অবধি কিছুই বাকি রাখছো না তোমরা তোমাদের ওপিনিয়ন এর প্রচারে আর প্রসারে। অথচ একটু ড্রিংক করে দেশের মাটি ছেড়ে হাওয়ায় কপিল শর্মা নিজের মতামত রাখলেই গোলযোগ। সোনু নিগম টুইট করলে তার ওপর চর্চা, ফতোয়া। কে.আর.কে. এর টুইট এর পর টুইট কে নিয়ে হাসি ঠাট্টা, এমনকি অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য কে তো ব্লকই করে দেওয়া হলো। কেন তোমরা বাহুবলি টু দেখতে ব্যস্ত বলে কি কেও নিজেদের মতামতও রাখতে পারেনা! কাটাপ্পা বাহুবলি কে কেন মারলো জানার জন্য বছর খানেক অপেক্ষা করতে পারো, হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালতে পারো অথচ টেট এর পরীক্ষার ফল জানতে লাখ খানেকেও আপত্তি। বলি দেশের ভবিষ্যৎ কার হাতে, শিক্ষকদের নাকি রাজামৌলীর!

 নাহ আর পারছি না বাপু। সন্ধ্যে হয়েছে, গরু টাকে গোয়ালের খুঁটোয় বেঁধে দুটো খড়কুটো দিয়ে আসি নাহলে আবার কাল সকালে দুধ পাবো না, শুধু জল তো আর ব্যাচা যায় না। ভাগ্গিস গরুগুলো লিখতে পড়তে পারে না, নাহলে গরুগুলো হাল চষতে না চাইলে আমাদেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকতো না। স্বাক্ষরতা মিশনের আওতায় গরুগুলো আসার আগে একটা দালান ঘর, দেরাজ ভর্তি কাঁচা টাকা, দু একটা গাড়ি, আর একটা পলিটিকাল পার্টির টিকিট কেটে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে। তোমরা থাকো তোমাদের ওপিনিয়ন নিয়ে, আমাদের তো খেয়ে পরে বাঁচতে হবে, নাকি। নসবন্দী করে সংসারে লোকসংখ্যা টা কমে গেলো, এখন নোটবন্দির দৌলতে ব্যাংকে লাইন দেবে কে শুনি। শ্বাসবন্দি হওয়ার আগে আরেকদিন যদি বরফঢাকা শক্ত নোনা মাছ আর আড়ৎপচা সবজির ভুরিভোজ টা হয়ে যায় মন্দ কি।

Thursday, May 4, 2017

আকাশবাণী

আকাশে বাতাসে, জোট বেঁধে আছে, ধোঁয়ায় কালো আজ চারিদিক,
পোড়া কঙ্কালে, জোরে ধমকালে, লাল হয়ে ওঠে বায়োপিক।
শ্লেষ মাখা গায়ে, যদি মন চায়, ঝাঁপ দিয়ো ঘন বর্ষায়,
মুখ- কালো দাগ, গনগনে রাগ, ফেলে রেখে এসো দরজায়।


নিভু নিভু টুনি, মন্দ্রাতেও শুনি, লাল কালো মেখে অভিমান,
পিলে চমকায়, কাঁপে শঙ্কায়, তাও যদি সময়ে ফেরে জ্ঞান।
বিবর্তনের চাকা, থামেনি এখনো, আজও নাব্য পুরানো বন্দর, 
কেটে ফ্যালো লেজ, নাহলে সতেজ আজো লংকার বুকে সুন্দর।

কথা কথা প্রেম, এক ঝাঁক পাখি, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, বেড়ায় ঘুরে,
খোলা ব্যালকনি, ঝাপসা চাহনি, সন্ধ্যা নামছে আকাশ জুড়ে।
সোঁদা সোঁদা ঘ্রান, ভেজা ভেজা মাটি, লোডশেডিং এ ছন্দপতন,
জানলার পাশে, গান ভেসে আসে, ঘন লিমেরিক- ঠিক তোমার মতন।

Tuesday, April 18, 2017

স্পেসাল অফার

বকলমে দুকলম আচঁড় কেটেছে চিন্তাগুলো ক্যানভাসে,
ট্রাফিক আইন, মানছো কি না, হুলস্থুল এজলাসে।
পেশাদার তুমি, তোমায় নিয়েই দিবারাত্রির কাব্যি হোক,
নর্দমা ঘেঁটে, কাদা পাঁক মেখে, নাচছে তোমার পাড়ার লোক।
চিড় ধরেছে, রক্তে রন্ধ্রে, কশেরুকায়, অস্থি মজ্জায়, গ্রে সেলে,
আপাদমস্তক উই ধরেছে, ভাটা পড়েছে আক্কেলে।
 
না, আমি দুধ কলা মাখি, কালসাপ পুষি না,
শিরদাঁড়া ভেঙে, খিদের চোটে আঙুল চুষি না।
কলপ কালো চুলের আড়ালে বদন ঢাকে যারা,
লাইফটাইম গ্যারান্টি সহ, পোর্টেবল, ল্যামিনেটেড শিরদাঁড়া।
স্পেসাল অফার, ভিড় জমেছে, বিগ বাজারে, শপার্স স্টপে, ফুটপাতে,
সরীসৃপের জাত চেনা যায় ছোবল মারা বিষদাঁতে।

তুমি আশাবাদি

তুমি আশাবাদি,তোমার চোখে দূরে মিশে যায় সমান্তরাল,
আমি বাস্তব,আমার আপেলে আজও বাস করে কীট,
তুমি ভাবো তাই সবাই মানুষ,সবাই সমান, রক্তে লাল,
আমি চিনি বাইবেল কুরান গীতা, বাকি সব বুলশিট।


তুমি আশাবাদি, তোমার চোখে বৃষ্টি মাখা মাটিতে প্রেম,
আমি বাস্তব, আমার পথ, পিছল প্যাচপ্যাচে জলকাদা,
তুমি ভাবো তাই সবাই মানুষ, সবাই সমান, ভাই বেহেন,
আমি তোমায় ভাবি চাকর শ্রমিক, আর আমি নবাবজাদা।

তুই আশাবাদি, তোর চোখে আজও বেচেঁ আছে ভবিষ্যৎ!
আমি বাস্তব আমার কাছে বর্তমানই শেষ কথা,
তুই তাও আজও স্বপ্ন সাজাস, এত বড় তোর হিম্মত!
তোর জন্য কবর খোঁড়া, তোর জন্য আজ নীরবতা।

Wednesday, March 29, 2017

তোমার যদি সময় থাকে

মিনিট সেকেন্ড ঘন্টা দিয়ে যাদের সময় যাচ্ছে কেনা,
হাতঘড়িতে জীবন মেপেও প্রাণ ব্যাঙ্কে অঢেল দেনা।
একটা আকাশ পোষ মানাবো তোমার যদি সময় থাকে,
একটা জীবন লুকিয়ে আছে দশটা পাঁচটা কাজের ফাঁকে।


মেঘের চোখে জল জমেছে, গাল ফুলিয়ে বর্ষা নামে,
আজও সময় থমকে আছে টাইম কলের ট্রাফিক জ্যামে।
তোমার যদি সময় থাকে, একটা মেঘের বুকিং আছে,
খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে থেকো, প্রেম পাঠাবো তোমার কাছে।

ষোলো আনার আইস্ক্রিম, আট আনার টুকরো হাসি,
চলো দুটো পেখম কিনে বিশ্বজগত ঘুরে আসি।
একটা দুপুর যাচ্ছে কেনা জমাপুজিঁর দুটাকাতে,
তোমার যদি সময় থাকে সব বর্ষা এক ছাতাতে।

Friday, March 24, 2017

আরো একদল শ্রীজাত হোক

গুন্টুর থেকে একডালিয়া রাস্তা ভর্তি কুরআন গীতা,
ধসের চাকায় প্রাণ দিয়ে যায়, লজ্জা শরম, আর পতিতা।
শিল্প হালিম, সহজপাচ্য হতেই হবে, নইলে জবাই,
কুঠার হাতে, তাসলিমা আর শ্রীজাতরা, আর সাথে আমরা সবাই।

ব্যাপারটা সহজ বড়, সকাল সন্ধ্যা দুপুর বিকাল,
যাই ঘটছে, যাই রটছে, সবই পিওর পলিটিকাল।
স্পিরিট লেভেলে ফারাক বড়, সহনশীল বা প্রতিবাদী,
পলিটিক্সের নোংরা জলে মুখ ধুয়ে যায় নবাবজাদি।
ধর্ম জাতি, জন লোকপাল, রিসারভেশন, কালো টাকা,
সাক্ষি আছে অঢেল সময়, সব ঘড়ারই শব্দ বেশি, ভেতর ফাঁকা,
সেই জোচ্চুরি, সেই রাহাজানি, সেই ক্ষমতার দখলদারি,
কেও কার্ল মার্ক্স কেও লেনিন, আদতে সিঁধ কাটা চোর, ভোট ব্যাপারি।
সমস্যাটা অন্যখানে, আমরা সবাই সব জানি,
কার হাতে খড়্গ কৃপাণ, কেই বা খুনি কে আসামি,
অনেক হয়েছে ঘরের কোণে, খাবার টেবিলে, ভন্ডামি শোক,
অ্যাপলিটিকাল শব্দ বেছে, সাংবিধানিক মাপকাঠিতে, আরো একদল শ্রীজাত হোক।

Tuesday, February 14, 2017

ভ্যালেন্টাইন

দু টুকরো সিক্ত চোখে,
সুগন্ধি তোর প্রেম, বিনাইন,
নিভু নিভু রাতে, আলোয় মাতে,
স্পর্শকাতর ভ্যালেন্টাইন।


দুকলমে প্রেম প্রস্তাব,
কাগজের বুকে হাজার জখম,
সোডা আর পেগে, রাত্রি জেগে,
স্বপ্নগুলো হরেকরকম।

দু হাত খুলে বক্ষে ডাকি,
রক্তে রন্ধ্রে তোর পরিণাম,
এক নিমেষে, হাওয়ায় মেশে,
প্রেম বিরহের যুদ্ধ বিরাম।

Friday, January 13, 2017

থার্মোমিটার

সন্ধ্যা হোলে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে,
দিনের ধকল, জমাট বাঁধা রক্ত ঘামে,
গলতে থাকে, মার্স জুপিটার।

কথার ওপর জমতে থাকা কথার চাপে,
জামার ভেতর গুটিয়ে থাকা সোহাগ মাপে,
স্পর্শকাতর, থার্মোমিটার।

লোডশেডিং এর অন্ধকারে বাড়ছে মড়ক,
বসছে মাছি, নর্দমা আর নোংরা সড়ক,
তৈরি থেকো, ইনকিউবেটর।

Monday, January 9, 2017

রেনেসাঁ

মাকড়সা জাল বোনে, মরচে পড়ে,
খোদাই করে তুঁতে,
ক্ষুধার শিশু রাস্তাঘাটে, নয়ন ঝরায়,
'বিরাম অস্ফুটে। 

চলদস্তুর মাপকাঠিতে স্তব্ধ বিতান,
পরমক্ষনে কাতর ফিসফিস,
দাসত্বের গালিচা ফুঁড়ে, জন্ম নিলো
রেনেসাঁ, হেরো -- ইলতুৎমিস !

Saturday, December 31, 2016

হাঁসজারু

গুপ্ত যুগে সুপ্ত ছিল যেসব জামা,
বাজারদরের আর্লি কাটে তাদের নামা।
পোকাধরা ময়লা পড়া জংলি হাটে,
লজ্জা শরম বিকিয়ে যারা আজ প্রভাতে,
রাস্তা নিলো, সস্তা ছিল তাদের হাসি,
কেও ডাক্তার, কেও প্রফেসার, কেও প্রবাসী।
শহরজুড়ে ঠান্ডাগরম নামার আগে,
মানিয়ে নেওয়া রেনেসাঁসের দুর্বিপাকে,
যে জনগন, তাদের জন্য রইল আশা,
শীতের সকাল, ধুম্র ঘন রোদ কুয়াশা।