চাপ পড়লে ব্যাথা লাগে, কাটলে পড়ে রক্ত!
রাগে রক্তচক্ষু, লজ্জায় মুখ লাল, আজও কি হয়!
আজও কি হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠো, ভয় পেয়ে?
আজও কি বুকটা চিনচিনিয়ে ওঠে, সমবেদনা জাগে!
ভোরের ভৈরবী গেয়ে যাওয়া পথিকের গানে জাগে প্রাণ?
আজও কি খোঁজো জীবনের মাঝে সুখ আনন্দ ভাব ভালবাসা?
বিস্ময় জাগে, কিভাবে বদলে গেছে সব,
ব্যাস্ততার টালবাহানায়, জীবনের সাতে পাঁচে মস্তিষ্ক আজ জড়।
জানি আজও ভোরের আলো ফোটার আগেই তুমি উঠে পড়,
ভোরের মাড়ুলি সেরে কাঠের উনান পাতা চালা,
শিশির ভেজা তুলসীমঞ্চ,
আজও ধুয়ে মুছে সাফ কর তুমি।
দুমুঠো ভাতের জোগাড় কর,
কলসি ভরে গাঁয়ের পথ বেয়ে জল ভরে আনো,
- কিসের টানে!
যে গল্প কোথাও লেখা নেই, তার ইতিহাস শুধু অদৃষ্টই জানে।
শহরের রাস্তা ধরে বাঁচা মরার লড়াই চলে রোজ,
রাস্তার যানজটে মুখ বাড়িয়ে দেখো,
তার চেয়েও বড় জট লাগা, সম্পর্কগুলো, ঝাপসা।
রোজ অচেনা, অফিস যাওয়া লোকগুলো চোখ পড়লেই মুচকি হাসে,
ভিড় বাসে বসে থাকা লোকটা তোমার নাজেহাল অবস্থা দেখে বলে, 'দিন ব্যাগটা আমি ধরি',
চায়ের দোকানের কুকুরটা তোমার ছুঁড়ে দেওয়া বিস্কুটের জন্য তোমায় দেখলেই লেজ নাড়ে,
তুমি এদের কাউকেই কি চেনো?
সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে খবরের কাগজটা ওলটপালট,
খেলার পাতা সেরে সোজা চলে যাও শব্দছকে,
রোজ দুপুরের চলনসই খাবারের পর নিয়ম করে মুখশুদ্ধি,
ফেরার পথে মাঠের ধারে একটু দাঁড়িয়ে ছেলেগুলোর ফুটবল খেলা দেখো,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটার খেলা খুব ভাল লাগে না তোমার!
ও যখন রাইট উইং ধরে ড্রিবল করে, তুমি ওকে বাহবা দাও,
ও তোমায় দেখে মুচকি হাসে।
হঠাৎ তুমি বড় পোষ্টে চাকরি পেলে,
গাড়ি করে অফিস যাও,
তারপর বিদেশি ডেলিগেটস দের সাথে গরম কফি,
চায়ের বালাই আর নেই,
কুকুরটা আজ হয়তো অন্য কারুর জন্য লেজ নাড়ে।
ম্যাগাজিনটা উল্টেপাল্টে দেখো ঠিকই,
খেলা শব্দছকের নেশাটা আর নেই।
দুপুরের লাঞ্চের শেষ পাতে রোজ রকমারি ডেসার্ট।
অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাফিকে যখন তোমার গাড়িটা দাড়াঁলো,
ডান উইং দিয়ে ড্রিবল করে গোলে রাখা বলটা ছিটকে এসে লাগলো তোমার গাড়ির কাঁচে,
আজ তুমি বাহবা দিলে না,
রেগে সজোরে বলটা মেরে উড়িয়ে দিলে ভিড় রাস্তার মাঝে,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটা আজও তোমার দিকে তাকিয়ে,
শুধু মুখের মিষ্টি হাসিটা আজ নেই।
সত্যি বল, আজও কি কোথাও এই সম্পর্কগুলো আছে বেঁচে,
কংক্রিটের রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া চড়েও কি আজও মাটির গন্ধটা নাকে ভাসে?
শরীর কাটলে আজও রক্ত পড়ে, জানি,
কিন্তু সম্পর্কগুলো!
রাগে রক্তচক্ষু, লজ্জায় মুখ লাল, আজও কি হয়!
আজও কি হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠো, ভয় পেয়ে?
আজও কি বুকটা চিনচিনিয়ে ওঠে, সমবেদনা জাগে!
ভোরের ভৈরবী গেয়ে যাওয়া পথিকের গানে জাগে প্রাণ?
আজও কি খোঁজো জীবনের মাঝে সুখ আনন্দ ভাব ভালবাসা?
বিস্ময় জাগে, কিভাবে বদলে গেছে সব,
ব্যাস্ততার টালবাহানায়, জীবনের সাতে পাঁচে মস্তিষ্ক আজ জড়।
জানি আজও ভোরের আলো ফোটার আগেই তুমি উঠে পড়,
ভোরের মাড়ুলি সেরে কাঠের উনান পাতা চালা,
শিশির ভেজা তুলসীমঞ্চ,
আজও ধুয়ে মুছে সাফ কর তুমি।
দুমুঠো ভাতের জোগাড় কর,
কলসি ভরে গাঁয়ের পথ বেয়ে জল ভরে আনো,
- কিসের টানে!
যে গল্প কোথাও লেখা নেই, তার ইতিহাস শুধু অদৃষ্টই জানে।
শহরের রাস্তা ধরে বাঁচা মরার লড়াই চলে রোজ,
রাস্তার যানজটে মুখ বাড়িয়ে দেখো,
তার চেয়েও বড় জট লাগা, সম্পর্কগুলো, ঝাপসা।
রোজ অচেনা, অফিস যাওয়া লোকগুলো চোখ পড়লেই মুচকি হাসে,
ভিড় বাসে বসে থাকা লোকটা তোমার নাজেহাল অবস্থা দেখে বলে, 'দিন ব্যাগটা আমি ধরি',
চায়ের দোকানের কুকুরটা তোমার ছুঁড়ে দেওয়া বিস্কুটের জন্য তোমায় দেখলেই লেজ নাড়ে,
তুমি এদের কাউকেই কি চেনো?
সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে খবরের কাগজটা ওলটপালট,
খেলার পাতা সেরে সোজা চলে যাও শব্দছকে,
রোজ দুপুরের চলনসই খাবারের পর নিয়ম করে মুখশুদ্ধি,
ফেরার পথে মাঠের ধারে একটু দাঁড়িয়ে ছেলেগুলোর ফুটবল খেলা দেখো,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটার খেলা খুব ভাল লাগে না তোমার!
ও যখন রাইট উইং ধরে ড্রিবল করে, তুমি ওকে বাহবা দাও,
ও তোমায় দেখে মুচকি হাসে।
হঠাৎ তুমি বড় পোষ্টে চাকরি পেলে,
গাড়ি করে অফিস যাও,
তারপর বিদেশি ডেলিগেটস দের সাথে গরম কফি,
চায়ের বালাই আর নেই,
কুকুরটা আজ হয়তো অন্য কারুর জন্য লেজ নাড়ে।
ম্যাগাজিনটা উল্টেপাল্টে দেখো ঠিকই,
খেলা শব্দছকের নেশাটা আর নেই।
দুপুরের লাঞ্চের শেষ পাতে রোজ রকমারি ডেসার্ট।
অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাফিকে যখন তোমার গাড়িটা দাড়াঁলো,
ডান উইং দিয়ে ড্রিবল করে গোলে রাখা বলটা ছিটকে এসে লাগলো তোমার গাড়ির কাঁচে,
আজ তুমি বাহবা দিলে না,
রেগে সজোরে বলটা মেরে উড়িয়ে দিলে ভিড় রাস্তার মাঝে,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটা আজও তোমার দিকে তাকিয়ে,
শুধু মুখের মিষ্টি হাসিটা আজ নেই।
সত্যি বল, আজও কি কোথাও এই সম্পর্কগুলো আছে বেঁচে,
কংক্রিটের রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া চড়েও কি আজও মাটির গন্ধটা নাকে ভাসে?
শরীর কাটলে আজও রক্ত পড়ে, জানি,
কিন্তু সম্পর্কগুলো!
No comments:
Post a Comment