Thursday, December 27, 2018

ফাঁস

পাস কাটিয়েছে রাজা,
যুদ্ধ শেষে বুকফাটা শোক, ভেজা মাটি তরতাজা,
ছিন্নভিন্ন পড়ে আছে শব, তির ঢাল তরবারি,
কেও ফেরেনি ঘরে, রাঙা বাস পরে, ওত পেতে সংসারী। 


দল ভেঙে, জমে থাকা লাল মাটি বেয়ে গরু চরে,
লাঙলের ফালি, বুক চিরে কবে দুমুঠো অন্ন আনবে ঘরে!

বস্ত্রহীন রুগ্ন শিশু রাস্তার 'পরে ছুটে যায় আনমনে,
নীলাকাসে থ মেরে থাকা বুবুক্ষু বাজ, নিঃশব্দে 'মাদ গোনে।

যেখানে মাছের বাজার ছিল, আজ আঁশ তুলে চাটাচাটি,
চুল্হায় সদ্য আগ-নেভা ছাই, দোমড়ানো ভাঙা থালা বাটি,
হটাৎ দূরে ভেজা মাটি চিরে মুখ তুলেছে ধানের শিস,
আনমনা শিশু, ঘাড় মটকিয়ে মুখে পোরে, পুঁজিবাদ বলে আমায় দিস।

Monday, October 1, 2018

The plethora thus continues

Embark life, embrace the embodied emotions,
the empathic joy in countless duels of success and failure,
the turmoil in peace,
the plethora of life thus continues.

The thickening clouds bursts, the mischief unfold,
pondering over getting wet is a delay you can't afford.
You see the tunnel, go and hide, or conquer if you dare.

Roll up your sleeves, you are strong,
you have flesh, bone, muscles,
you have brain, spine, blood,
you have anger, anguish, fear, awareness,
you smile, you laugh, you cry, you yell, you yawn, you gasp,
you think, you have ideas,
you wait, you have patience,
you help, you have kindness,
you move on, you have self respect,
you fight, you have the sense of right or wrong,
you talk, you share, you roam, you dare,
you have all what it takes to thrive,
and the control, is all it needs,
and the will to do is all you need to garner.

Your eyes talk to each other over tears,
your ears hear them cry,
your skin touches all along its journey,
your hands clean them up,
your soul ask you to stand up again,
your pumping heart beat let you know
blood is still running through your veins,
and it takes an instance to decide, to survive or to loss.

You are nowhere certain,
never within your comfort zone,
not an inch is gifted to you,
you need to give an ounce for an ounce,
and at the end you win nothing but moments,
live those, cherish those and get ready for another.

The sun rises, the day comes,
slowly the dusk prevails and night embraces,
and the plethora of life, thus always continues,
always challenging you to dare, to fight and to win.

Tuesday, August 28, 2018

কাটলে পড়ে রক্ত!

চাপ পড়লে ব্যাথা লাগে, কাটলে পড়ে রক্ত!
রাগে রক্তচক্ষু, লজ্জায় মুখ লাল, আজও কি হয়!
আজও কি হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠো, ভয় পেয়ে?
আজও কি বুকটা চিনচিনিয়ে ওঠে, সমবেদনা জাগে!
ভোরের ভৈরবী গেয়ে যাওয়া পথিকের গানে জাগে প্রাণ?
আজও কি খোঁজো জীবনের মাঝে সুখ আনন্দ ভাব ভালবাসা?



বিস্ময় জাগে, কিভাবে বদলে গেছে সব,
ব্যাস্ততার টালবাহানায়, জীবনের সাতে পাঁচে মস্তিষ্ক আজ জড়।


জানি আজও ভোরের আলো ফোটার আগেই তুমি উঠে পড়,
ভোরের মাড়ুলি সেরে কাঠের উনান পাতা চালা,
শিশির ভেজা তুলসীমঞ্চ,
আজও ধুয়ে মুছে সাফ কর তুমি।
দুমুঠো ভাতের জোগাড় কর,
কলসি ভরে গাঁয়ের পথ বেয়ে জল ভরে আনো,
- কিসের টানে!


যে গল্প কোথাও লেখা নেই, তার ইতিহাস শুধু অদৃষ্টই জানে।


শহরের রাস্তা ধরে বাঁচা মরার লড়াই চলে রোজ,
রাস্তার যানজটে মুখ বাড়িয়ে দেখো,
তার চেয়েও বড় জট লাগা, সম্পর্কগুলো, ঝাপসা।


রোজ অচেনা, অফিস যাওয়া লোকগুলো চোখ পড়লেই মুচকি হাসে,
ভিড় বাসে বসে থাকা লোকটা তোমার নাজেহাল অবস্থা দেখে বলে, 'দিন ব্যাগটা আমি ধরি',
চায়ের দোকানের কুকুরটা তোমার ছুঁড়ে দেওয়া বিস্কুটের জন্য তোমায় দেখলেই লেজ নাড়ে,
তুমি এদের কাউকেই কি চেনো?


সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে খবরের কাগজটা ওলটপালট,
খেলার পাতা সেরে সোজা চলে যাও শব্দছকে,
রোজ দুপুরের চলনসই খাবারের পর নিয়ম করে মুখশুদ্ধি,
ফেরার পথে মাঠের ধারে একটু দাঁড়িয়ে ছেলেগুলোর ফুটবল খেলা দেখো,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটার খেলা খুব ভাল লাগে না তোমার!
ও যখন রাইট উইং ধরে ড্রিবল করে, তুমি ওকে বাহবা দাও,
ও তোমায় দেখে মুচকি হাসে।


হঠাৎ তুমি বড় পোষ্টে চাকরি পেলে,
গাড়ি করে অফিস যাও,
তারপর বিদেশি ডেলিগেটস দের সাথে গরম কফি,
চায়ের বালাই আর নেই,
কুকুরটা আজ হয়তো অন্য কারুর জন্য লেজ নাড়ে।


ম্যাগাজিনটা উল্টেপাল্টে দেখো ঠিকই,
খেলা শব্দছকের নেশাটা আর নেই।
দুপুরের লাঞ্চের শেষ পাতে রোজ রকমারি ডেসার্ট।


অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাফিকে যখন তোমার গাড়িটা দাড়াঁলো,
ডান উইং দিয়ে ড্রিবল করে গোলে রাখা বলটা ছিটকে এসে লাগলো তোমার গাড়ির কাঁচে,
আজ তুমি বাহবা দিলে না,
রেগে সজোরে বলটা মেরে উড়িয়ে দিলে ভিড় রাস্তার মাঝে,
ওই লাল গেঞ্জি ছেলেটা আজও তোমার দিকে তাকিয়ে,
শুধু মুখের মিষ্টি হাসিটা আজ নেই।


সত্যি বল, আজও কি কোথাও এই সম্পর্কগুলো আছে বেঁচে,
কংক্রিটের রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া চড়েও কি আজও মাটির গন্ধটা নাকে ভাসে?
শরীর কাটলে আজও রক্ত পড়ে, জানি,
কিন্তু সম্পর্কগুলো!

Tuesday, May 22, 2018

দ্য আদার সাইড

মাংসটা তখনো আধসেদ্ধ, এই মাত্র প্রথম সিটিটা পড়েছে। গরম ভাতটা নামিয়ে, টিভিটা চালিয়ে একটু বসলো রূপালি। বাইরের গুমোট মেঘলা ভাবটা কাটিয়ে মৃদু ঠান্ডা হাওয়া বইছে, আশেপাশেই কোথাও বৃষ্টিটা হয়ে গেলো বোধ হয়। আজ রবিবার, সকাল সকাল বাজারটা সেরে পলাশ বেরিয়েছে প্লাম্বার ডাকতে, তাদের বাথরুমের পাইপ বেয়ে চুইঁয়ে জল পড়ছে বেস কয়েকদিন থেকেই। চ্যানেল উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে হঠাত্ চোখটা আটকে গেল একটা লোকাল নিউজ চ্যানেলে। তাদের পাডার মোড় পেরিয়ে আধ ক্রোশ দুরের হাইওয়ের ওপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঝবয়সী এক সুঠাম যুবকের ওপর চডাও হয়ে পিটিয়ে খুন করে পলাতক, লোকাল কিছু গুন্ডা। পুলিশসূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও লাশ সনাক্ত করা যায়নি।

বাইরের ঠান্ডা বাতাশের সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ক্রমে শীতল হলেও এরই মধ্যে রূপালির কপালে ঘাম জমেছে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেল পলাশ বেরিয়েছে, এতক্ষণে তো ফিরে আশার কথা। একটু অধৈর্য ও চিন্তান্বিত হয়েই পলাশের ফোন নাম্বারটা ডায়াল করলো রূপালি। "আপনি যে নম্বরটিতে কল করেছেন সেটি এই মুহূর্তে হয় সুইচড অফ অথবা পরিষেবা সীমার বাইরে। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পরে চেষ্টা করুন।" তারপর প্রেশারকুকারে কটা সিটি পড়েছে তা আর গোনা হয়ে ওঠেনি রূপালির। দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশবার পলাশের নাম্বারটা লাগানোর চেষ্টা করেছে।
আবার টিভির সামনে গিয়ে মুখ গুঁজে বসলো রূপালি। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ছাপিয়ে এখন চড়াম চড়াম বাজ পড়ছে। মাস চারেক আগে বাজ পড়েই তাদের বাড়ির টিভিটা নষ্ট হয়ে যায়। আর সেদিনই বাজপড়ে মারা যায় তাদের পোষা মিরাক্কেল। তারপর থেকেই তাদের ঘরের অলিখিত নিয়ম, মেঘ দেখলেই টিভি বন্ধ করতে হবে আর বাইরে বেরোনো যাবেনা। আজ পলাশ আর রূপালি দুজনেই নিয়ম ভাংলো। আজ আর টিভি বন্ধ হোলো না। হুড়মুড়িয়ে সেই লোকাল চ্যানেলটা খুলতেই দুম করে কারেন্ট চলে গেল। এলোমেলো হাওয়ায় জানালার পাল্লাগুলো ঝনঝন করছে, সাথে প্রেশারকুকারে আরেকটা সিটি। চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে আর তার সাথে রূপালির মনে চিন্তার মেঘ ও।

'মাকে একটা ফোন করি!' মনে মনে ভাবছে রূপালি। ' না না, এখনি ফোন করা ঠিক হবে না, আরো কিছুক্ষণ দেখি'। বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে, সিটি গোনা হয়নি, কুকারটা পাশে নামিয়ে ওভেনটা বন্ধ করলো। তারপর আবার পলাশের নাম্বারটা চেষ্টা করতে গিয়ে দ্যাখে, ফোনটা ডেড। মনে মনে প্রচন্ড রাগ হোলো পলাশের ওপর, 'কতবার বলেছি বাড়ির জন্য একটা মোবাইল ফোন কিনতে, সময়ে অসময়ে ফোন ডেড হয়ে পড়ে থাকে।' এইতো মাসখানেক আগের কথা, পলাশ তখন হপ্তাখানেকের জন্য অফিসের কাজে বাইরে। রাত প্রায় সাড়ে দশটা, হঠাৎ রূপালির বুকে ব্যাথা শুরু হয়। কি করা উচিৎ বুঝতে না পেরে ফোন করে পলাশকে। কিছু বোলে ওঠার আগেই ফোনটা কেটে যায়, তারপর ফোন ডেড। এন্টাসিড খেয়ে রূপালি ঘুমিয়ে পড়ে সেদিন, পরেরদিন তার ঘুম ভাঙে কলিং বেলের আওয়াজে, বাইরে পলাশ দাঁড়িয়ে। চাকরিটা সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও তার জন্য কম খেসারৎ পোহাতে হয়নি পলাশকে।

রাগ ছাপিয়ে ভর করলো চিন্তা, 'না এভাবে তো বসে থাকা যায়না '। ছাতাটা হাতে তুলে নিয়ে, দরজা খুলতে যাবে ওমনি কানে এলো, জোরে জোরে কে যেন দরজা ধাক্কাচ্ছে, অনবরত, জোরে আরো জোরে, যেন পুষে রাখা রাগ অভিমান যন্ত্রণা ঘৃণা আছড়ে পড়ছে কারুর। ভয় লাগতে লাগলো রূপালির। এই ঝড় বৃষ্টি বাজের মধ্যে এভাবে কে, কেন দরজা ধাক্কাচ্ছে, পলাশও বাড়িতে নেই! 'নাহ্ দরজাটা খুলতেই হবে, পলাশের খোঁজটা করতেই হবে, ভয় পেলে চলবে না।' এবার ভয়কে ছাপিয়ে গেলো উদ্বেগ।

দরজা খুলতেই, সামনে দাঁড়িয়ে আধভেজা পলাশ। পলাশ কিছু বলতে যাওয়ার আগেই গর্জে উঠলো রূপালি, 'এভাবে কেও দরজা ধাক্কায়, একটা কলিং বেল বলেও বস্তু হয়। আর ছিলে কোথায় এতক্ষণ, ফোনও বন্ধ। একটা ফোনও তো করে দিতে পারতে, দেরি হবে যখন।' না এরপর আর পলাশ কিছু বলার সুযোগ পায়নি, কেউ পায়না। দৃষ্টির বাইরে, উলটো দিকটায় কি হচ্ছে কেও জানার চেষ্টা করে না। পলাশ মুখ খুলতে যেতেই নিজের মাথাটা পলাশের বৃষ্টিভেজা বুকে গুঁজে দিয়েছিল রূপালি। তারপর ঠান্ডা ভাত আর প্রায় গলে যাওয়া মাংসের ঝোলের যে স্বাদ সেদিন তারা পেয়েছে, তা বোলে বোঝানোর অপেক্ষা রাখে না।

হাইওয়ের দুর্ঘটনায় পথ অবরোধের জেরে আটকে পড়েছিল পলাশ। তারপর মেঘ বৃষ্টি বাজ শুরু হতেই অবরোধ উঠে যায়। আধভেজা হয়ে বাড়ি ফেরে। কলিং বেল বাজায়, কারেন্ট নেই। ফোন করে, ফোন ডেড। তারপর প্রায় আধা ঘন্টা ধরে দরজা ধাক্কাচ্ছে পলাশ, চিন্তায় ভয়ে হাত পা ঠান্ডা, রগ শক্ত হয়ে এসেছিলো তার। শুধু লোকজন জড়ো করে দরজা ভাঙাটাই বোধ হয় বাকি ছিল। 

Thursday, May 3, 2018

হরর স্টোরি

আসিফা, উন্নাও, আসাম আরো কত ঘটনা বিচারের অপেক্ষায়, আছে আর কিজানি আরো কত বছর থাকবে। রিপোর্ট বলছে বিচারকের সংখ্যা নেহাতই কম হওয়ায় বস্তা বস্তা কেস পড়ে পচছে আদালতে আদালতে। বিচারের এভারেজ সময়সীমা এক একটি দশক, যে সময়ের মধ্যে শুয়োঁপোকা প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতে পারে। এরমধ্যে আবার নতুন নতুন বিচারব্যাবস্থার জন্ম হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের রোমিও স্কোয়াড এর রমরমার কথা আগেই শুনেছি, এবার হঠাত জেগে উঠলেন কোলকাতার দাদুরা। বস্তাপচা রোজনামচার বাইরে খোরাক খুঁজে নেওয়ায় কোলকাতার জুড়ি মেলা ভার। তা সে ভাগাড়ের মরা জীব জন্তুর মাংস খাওয়াই হোক কিম্বা মেট্রোয় দাদুদের মোরাল পুলিসিং। 
 
বিকিয়ে যাওয়া মিডিয়া আর পাচাটা চ্যানেলগুলির মুখ সবারই চেনা। মাঝে মধ্যে এন্টারটেইনমেন্টের জন্য চোখ রাখি তবুও। হতাশ হতে হয়নি এখনো অবধি। গুলতানি, মেকিদেশপ্রেম ও জনসেবার বুলি শুনে শুনে বেদ লিখে ফেললাম। হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন, বেদ। মনে করিয়ে দি, বেদের অপর নাম শ্রুতি। বিগ এফএম ও একসময় শুনতাম। সৌভাগ্যবসত এখন আর সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। কোলকাতার নিত্যনৈমিত্তিক এডভেঞ্চারে খুব একটা কান পাতি না আজকাল। তাই মোরাল দাদু দেরও ভাগাড়ের দলে ঠেলে, এড়িয়ে গিয়েছিলাম। হঠাত চোখে পড়লো, বিগ এফএম এর একটি ভিডিও। বিগ এফএম রেডিও ছেড়ে সোজা ফেসবুকে, একটি গল্প নিয়ে। আনকোরা হাতে লেখা, লুপহোলে ভর্তি হলেও গা শিউরে ওঠার মত গল্প। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নামে, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে, রাস্তায় রাস্তায় বিচারব্যাবস্থার সাপোর্টের গল্প। একবিংশ শতকে প্রতিবাদ না করে কুল হওয়ার গল্প। মেট্রোয় সেফ লেডিস জোনে না বসে, দাদুদের কনুই মারার অধিকার দেওয়ার গল্প। সমাজে রেপ কালচার ছড়িয়ে দেওয়ার গল্প।
 
গল্পটি শুনে আমার গা শিউরে উঠেছে, শিক্ষিত উন্নয়নশীল সমাজের মানুষের মধ্যে এই কথাগুলো ওপেনলি ছড়িয়ে দেওয়ার সাহস আরো কত কত সুপ্ত ক্রিমিনালের সাহসে ইন্ধন দেবে তা ভেবে। আরো কত আসিফার জন্ম দেবে এই অগণতান্ত্রিক প্রচারমুখরতা, আরো কত বস্তা জমা পড়বে আদালতে, আরো কত স্বনিয়ন্ত্রিত বিচারব্যাবস্থা তৈরি হবে রাস্তায় রাস্তায়, আর আমরা কি শুধু এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই চ্যানেল খুলে বসবো!

Saturday, April 14, 2018

Aweধর্ম

পরনে তোমার স্বচ্ছ বসন, গর্ব গায়ের রঙে,
তোমার নাকি ওঠা বসা দেবদেবীদের সঙ্গে!
একহাতে অস্ত্র ছিল আরেক হাতে ধ্বজা,
ধর্মের মুখোশ এঁটে, মুখ লোকানো সোজা।


রাষ্ট্র, রাজ্য, ডেমোক্রেসির লোকদেখানো ছুতোয়,
ষড়রিপুতে টান পড়লে, ধর্মের ষাঁড়ও গুঁতোয়।
ধর্মের হাতে আগুন, পাশে মানবতার চিতা,
মন্দিরে ঈশ্বর ছিল, পাশে নিষ্পাপ ধর্ষিতা।

Tuesday, April 3, 2018

সাম্প্র-দায়ী-কে

কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে, ঝাঁঝরা বুলেট, গনগনে ইঁট,
রোজসকালে সবজি বেচি, আমি নাকি সাম্প্রদায়িক!
বাম হাতটা ঝলসে গেছে, পিঠটা অবস, নাকটা ভোঁতা,
লুটিয়ে আছে রাস্তা জুড়ে মানুষ, সাথে মানবতা।

জিতছে রাম, জিতছে রহিম, জিতছে ভীরু ধর্মবেসি,
জ্বলছে মানুষ, মরছে মানুষ, আর পুড়ছে ডেমোক্রেসি।
মানুষ এখন শুধুই ভোটার, দুদিন রাজা, বাকিটা সময় ফেউ,
সবাই নিজের দল বেছেছে, মানুষের হয়ে দল বাছেনি কেউ।

যাদের হয়ে রাস্তায় নামো, যাদের কথায় অস্ত্র ধর হাতে,
গোপনে তারা গুছিয়ে নিয়েছে, মিটিয়ে নিয়েছে একে অপরের সাথে।
নামকরা রাস্তা-ঘাটে সুরক্ষিত, শ্যোণ নজরে যাদের সিংহাসন,
যারা মরছে, যারা কাঁদছে, যারা ঘরছাড়া, তারা কিন্তু সবাই জনগণ।

সাম্প্রদায়িকতা, ডিভাইড এন্ড রুল, ভেঙে ফেলা ভাই ভাই কে,
স্বার্থসিদ্ধির মুচকি হাসে যারা, তাদের শুধাও সাম্প্র-দায়ী-কে!

Friday, February 9, 2018

দেখা হবে অনুসন্ধানে

একদিনে সব পেয়েছিলে, একদিনে হারয়েছ সব,
জেনো কেও মনে রাখবেনা, ফেলে আসা ব্যাথা, অনুভব।
একদিনে ক্ষোভ জমেছিলো, একদিনে ভেঙেছিল দ্বার,
জেনো যবে আলো জ্বলবেনা, ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে হবে সার। 


ঘসামাজা দোমড়ানো ঘাসে, জানি কেও মুছেছিলো পা,
শিশির আজো জমে ঘাসে, পায়ে তার দগদগে ঘা।
অনেকটা পথ চলা বাকি, কথা দেওয়া, একসাথে হাঁটা,
ছোটো ছোটো পা ফেলে দেখো, নিমেষে কাটে সন্ধ্যাটা।
 

ধ্বস নামে সময়ের ভাঁজে, টিকটিক করে ডাকে কেও,
বুদবুদে আজও ভেসে আসে, ওলটানো সময়ের ঢেউ।
টিমটিমে তারাদের ভেরি, আজো ভাসে আসমানি গাঙে,
তোমায় তো কথা দেওয়া আছে, দেখা হবে অনুসন্ধানে।

Friday, January 19, 2018

The other side

As one mystery unfolds another resurrects and this is how the drama of life keeps on amazing us with its twists and turns. Its already the dusk, the night approaching and so as the train, towards its destination, running, galloping, smearing its tiny little existence over the iron tracks of irony mocking at its own parallelism.

The clouds are all over the sky now, droplets of water are forming and gliding over one side of the haze window glasses. Eyes peeping through, towards the approaching murky, cloudy night, are somehow delighted by the contrast with the nonchalance of the inside. Moving and trickling little fingers of innocence all over the window glasses writing some abstract story of the two sides of the glass, so close yet so far, so much in touch yet so different. With time, as the night approaches, as the clouds dense up, as the lights lit up all along the train, the differences keep on increasing, diverging in volume as the night gets more and more darker. The peeping eyes are slowly stepping into the trap of drowsiness, ignoring the diverging contrast of the two sides of the window glass. The abstract scribblings slowly evaporates, the lights slowly gets turned off, and slowly but steadily the differences start getting wiped out. As the morning approaches, the sunshine kisses the other side of the glass, the warmth spreads over the whole glass, the whole window, the whole train, the whole drama of life. 

The train stops, the peeping eyes of the inside get off the train and walk away, what remain are the two sides of the window, with each other, making each other feel their existence, differences, togetherness, getting ready for another hell of a journey of differences.