তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে আমার লেখা..
আজ একটু খাতার ওপর কলম চালানো বন্ধ করে...
নিজের কপালে কলম চালাব বলে....
হাতে নিয়েছি...ছুরি....
দুপাশে বনবিথী আর পেছনের ওই পানাপুকুর ছেড়ে...
আমি তখন এগিয়ে চলেছি ক্রম সংকুচিত একটা রাস্তায়...
গাছের শুকনো পাতার কার্পেট এ পা ফেলে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল...
এভাবেই বুঝি এগিয়ে যাওয়া যাবে সমস্ত টা পথ...
পাখিদের কলকন্ঠের কাকলি আর মৃদুমন্দ বাতাসে..মন শ্রীহরিত...
হঠাত মাথার ওপরের সূর্য টা কেমন যেন জ্বলে উঠলো..
টগবগিয়ে ফুটতে লাগলো সারা শরীর....
মৃদু হওয়া বদলে যেতে লাগলো ঝড়ে...
শুকনো পাতার গা বেয়ে বেরিয়ে আসতে লাগলো..কাঁটার আবরণ ...
বিঁধতে লাগলো পায়ে...
কিছুটা চলার পর...
রসনেন্দ্রিয়ে আড়ষ্ঠতা আর গমনেন্দ্রিয়ে ক্লিষ্টতা অনুভব করলাম ..
স্নায়ু বেয়ে তীব্র বিদ্যুতের চলাচল টের পাচ্ছি....
আর শিরায় শিরায় উষ্ণ পারার স্রোত...
চোখ কান মুখ ঘিরে একটা জমাট বাঁধা ধোয়ার গরম কুন্ডলী...
আর বাড়িয়ে রাখা হাতের পাতায় একটা শীতল স্পর্শের প্রবল আকুতি....
সব কিছু বদলে যেতে লাগলো..ডান বাম অগ্র পশ্চাত ...সব...
সুন্দর পদ্যের পরিবেশ টা রুপান্তরিত হলো চরম বাস্তব গদ্যে..
আর তাই ছুঁড়ে ফেলে দিলাম কলম..আর হাতে তুলে নিলাম ছুরি..
এবার সেই ছুরি আছড়ে পড়বে..কপালের ভাঁজে..
তারপর যদি আবার আসে ফিরে...সেই সুন্দর কাব্য..
তোমরা কেউ আমার জন্য আবার কলম ধোরো.
No comments:
Post a Comment