Saturday, February 27, 2016

মৃত্যুর অভ্যাস

মৃত্যু ব্যাপারটা খুব গোলমেলে। বেশ কয়েক জায়গায় পড়েছি, অন্ধকারের যেমন অস্তিত্ব নেই, তা শুধু আলোর অভাব মাত্র, সেরকমই জীবনের অভাবই হোলো নাকি মৃত্যু। এ বিষয়ে আমি সহমত কি না, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে এটা বোলে রাখি, মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না, ভয় পাই জীবনকে। আর তাই মৃত্যুর প্রতি আমার বিনম্র স্রদ্ধা।
আমি, আমরা, রোজ মৃত্যু দেখি। কারুর বুক ভরা আশার তো কারুর অদম্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার । আর তার সাথে মিশে থাকা আরো জনা কয়েক মানুষের দুচোখ ভরা স্বপ্নের সলীলসমাধি আমাদের খুব চেনা। সমাজের হাড়হিম করা অবয়বের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা সামাজিকতাও মরছে রোজ, রাস্তায় বাজারে গলির মোড়ে চোখ রাখলেই দেখতে পাই শ্মশান যাত্রীর ঢল। আমি একা নই, আমরা সবাই রোজ নিয়ম করে দেখি। নিয়ম করে মানবিকতার ক্রমমৃত্যুতে আমরাও অংশীদার। কিন্তু এসব মৃত্যুও আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী। আমরা এতে ভয় পাই না, ভয় পাওয়ার কিছু আছে বোলেও মনে করি না। আসলে মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায় না। মানুষ ভয় পায় অভ্যাসের মৃত্যুকে।
মৃত্যু, একটা মানুষের, একটা জীবনের, একটা সম্পর্কের। আর তার সাথে তার জীবনযাপনের। তার আচার ব্যাবহার, তার দৈনন্দিন চালচলনের সাথে মিশে থাকা আমাদের অভ্যাসের। মানুষ এমন একটি প্রাণী যা পরিবর্তন দেখে আনন্দ পায় কিন্তু নিজেকে, নিজের পারিপার্শ্বিককে পালটে ফেলতে গেলে পিছিয়ে আসে। এককথায় মানুষ অভ্যাসের দাস। ছোটবেলা থেকেই আমাদের অভ্যাস বশবর্তী হতে শেখানো হয়। সকাল-বিকেল নিয়ম করে পড়তে বসা থেকে শুরু করে সকাল-দুপুর-রাতে খাওয়ার অভ্যাস, সকালে রাতে নিয়ম করে দাঁত মাজা সবই আমাদের রক্তে মিশে গেছে। এইসব নিয়মানুবর্তিতা আমাদের নিয়মানুগ হতে শেখায় ঠিকই কিন্তু তার সাথে নিয়ম পালটে ফেলার প্রয়োজনবোধটাও আসতে আসতে ক্ষয় হতে থাকে। তবুও যেদিন নিয়মের বাইরে পরিবারের সাথে রাতের খাবারটা রেস্তোরাঁয় হয় কিম্বা সন্ধ্যের পড়াটা ব্যাতি রেখেই যখন মেলা ঘুরে আসা হয় বন্ধুদের সাথে, আনন্দটা কয়েকগুণ বেশি হয়, মন আনন্দে ভরে ওঠে। আয়ত্তে আনা নিয়মানুবর্তিতা কখনই মানুষের আদিম উশৃঙ্খল প্রবৃত্তিকে ছাপিয়ে যেতে পারে না, সুপ্ত থাকে মাত্র। প্রয়োজনে এই আদিম প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে মানব আর যন্ত্রমানব এর কোন পার্থক্য থাকে না।
আর সেখানেই আমার ভয়। মৃত্যুকে নয়, জীবনকে। এই জীবনকে যেখানে মানুষ অভ্যাসের দাস, যেখানে মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাসে মানবিকতার, সামাজিকতার মৃত্যু মিলেমিশে একাকার। আমার ভয়, মানুষকে নয়, মানুষের যন্ত্র মানবিকতার প্রতি অভিসারকে। তাই যখনই কারুর মৃত্যুতে দুচোখ ভাসাবেন, একবার ভেবে দেখবেন, আমাদের অভ্যাসগত মৃত্যুও কিন্তু অনেকের অভ্যাস বহির্ভূত মৃত্যুর সাথে জড়িয়ে থাকা অশ্রুর জন্য দায়ী।

Friday, February 26, 2016

সারমর্ম

বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল আমাদের শিকড় গজিয়েছে। আমরা আর নড়তে চড়তে পারি না। যে মাটির টান ছিন্ন করে আমরা আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতাম, সেই মাটিই আজ আমাদের সব। থাকা খাওয়া সবই এই মাটিতেই। সময়ের সাথে আমাদের ভেঙে পড়া শিরদাঁড়া আবার শক্ত করেছে এই মাটিই। 

মাঝে মধ্যে এসে গাছপালা গুলো আমাদের পাশে এসে বসে, আমাদের নিয়ে খেলা করে, আমাদের গায়ে পাতা বোলায়। আমাদের হাতের আঙ্গুল, মাথার চুল, গায়ের চামড়া ছিঁড়ে নেয় না। আমাদের হাত পা গলা কেটে নিজেদের জন্য খাট পালঙ্ক বানায় না। তারা গল্প করে নিজেদের মধ্যে,আমরা শুনি। এখনও গাছেরা সালোকসংশ্লেষ করে আমাদের সময় মত খেতে দিয়ে যায়, আমরা তাই খাই। 
এখনও পাখিরা আকাশে ওড়ে, গাছের ডালে গিয়ে বসে, আমরা শুধু দেখি। আমাদের ভ্রুনপ্রতিস্থাপন করে আমাদের বংশবৃদ্ধি করে বাঁচিয়ে রেখেছে এই পাখিরাই। মাঝে মধ্যে এসে আমাদের গান শোনায়। কাকটাও এসে গলা খাখরে মজা করে যায়। 

এখন আর ছাগল, গরু গাছের পাতা খায় না। রোজ দেখি গাছপালা গুলো খাবার রান্না করে ছাগল গরুদের খেতে দেয়। ছাগল গরুগুলো রোজ এসে আমাদের দুধ দিয়ে যায় খেতে। আমরা লজ্জায় চাইতে পারি না, তবু দিয়ে যায়, না চাইতেই। আর যাওয়ার সময় মাথায় লেজ বুলিয়ে দিয়ে যায়। আমরা কিছু বলতে পারি না, শুধু দেখি, দেখেই যাই। এখন আমাদের প্রতিবেশী মানুষটা আমাদের ছাগল বা গরু বললে আমাদের খারাপ লাগে না, বেশ গর্ববোধ হয়। 

ভালই আছি আমরা। ভাল আছে সবাই। কারুর সাথে কারুর ঝগড়া নেই, কেউ কাউকে ভয় পায়না, কেউ কারুর প্রতি ক্ষোভ পুষে রাখে না। এখন আমাদের আর কোন কাজ নেই, কাউকে কিছু দেওয়ার নেই। সারাদিন শুধু ভাবি, আমাদের শিকড় গজানোর আগে কি এরকম একটা পরিবেশ সত্যিই সৃষ্টি হতে পারত না!

Sunday, February 14, 2016

परछाई ज़िन्दगी की

कुछ मीठे लम्हे, कुछ यादें साथ है,
सर्द हवा सी सरसराती तेरी हर बात है,
लिपटने को दिल करे , हर पल , ऐय जानेमन ,
तेरी आगोश में मैंने एक सुकून की तन्हाई देखि है ,
तेरी आँखों में मैंने ज़िन्दगी की परछाई देखि है।

हरवक्त हर लम्हा तुझसे मिलने को दिल करे ऐय ज़िन्दगी ,
तेरी बाहो में फूल बनके खिलने को दिल करे ऐय ज़िन्दगी ,
इंतज़ार में ढल जाये ज़िन्दगी तो गम नही,
इसी इम्तेहां में मैंने अपनी रुसवाई देखि है,
तेरी आँखों में मैंने ज़िन्दगी की परछाई देखि है।

Thursday, February 11, 2016

তক্তি

ট্যাবলয়েডে জমতে থাকে ঘাম, পচতে থাকে কথা, স্মৃতির ফসিল ভাসিয়ে দিয়ে গাঙে, একটু নীরবতা। ফুটনোটেতে প্রণাম সেরে, ঝরছে বালি, সাতকাহন, জীবনের ঢাল মাটিতে, ছুটছে গাড়ি, যানবাহন। দিনেকের আলসেমি আর ঘোড়দৌড়ের মাঠ ছেড়ে, রাত্রি হোলে, বেহিসেবি চিন্তাগুলো, ঘর ফেরে। রাত জাগা পাখি, মনভোলানি, নিয়ম করে আদর মাখে, ক্লান্ত চোখে খুঁজছে শহর, ফিরিয়ে দেওয়া এই আমাকে।

Monday, February 8, 2016

The Renaissance

You stole my heart, I knew,
The very moment I saw you. And then we came closer, We laughed together, We pat' each others back. We strolled around the crowded roads, We sat over the empty beaches. You healed my wounds, I felt, You blown kisses and I melt', I adored you, I messed you up with joy, You lit the fire inside, You brought the snow over hills, And we together, redefined ourselves, We redefined love, an eternal bonding. We fell in love, I knew, The very moment I saw you.

কথা রাখবেনা জানি

নিদ্রাহীন চক্ষুপলক, কঠোর অভিমানী,
ওত পেতে বোসে থাকে রাগ, ধূসর বনানী, তবু, কথা রাখবেনা জানি।
এলোমেলো লাব - ডাব, নয়নেতে পানি, হৃদপুর আদালতে আজ বিবশ শুনানি, তবু, কথা রাখবেনা জানি।
ঢং ঢং ডংকা, বাতাসে পিসাচের বানী, আঁধার গভীর রাতে ছুরিকাঘাত হানি, তুমি, কথা রাখলেনা জানি।

Tuesday, February 2, 2016

Random Thoughts

Everyone has their own way of defining happiness. I am happy doesn't imply you would also be happy if you were me and vice versa. I am different so are you, miles apart from each other in confined space and time. Miles apart in features, not only physically but psychologically and even in how we react to situations, how we define ourselves, what we are and what we pretend to be, miles apart we are. Our priorities are different so as their dynamics, how they change, the time scales of their existence and the determination, the desperation of preserving the priorities are different as well, miles apart. The conundrum is ready to throw up in the air expecting a magical way out. Randomness creeps in, all possible steady states fight for their survival and then it sounds quite crazy how I got the stable and you the unstable ones. Well I am sure you feel the same, and here we broke the conundrum, we think in the same direction, however, with a completely different conclusion. So random is life, so different are people, so many paths to follow, so many hidden facts and so many stated rumors we live with. There are so many reasons to prove our worth but then again what dominate are the excuses, so many, to stand our own mistakes. So random are our choices, how differently we accept, reject and defend things and that is what defines the difference between what we are and what we pretend to be. So random is life, so random.

Monday, February 1, 2016

সিম্ফনি

আবেগের স্বরলিপি, পোকাকাটা বইয়ে মুখ গুঁজি,
গলা পচা ধারাপাতে, ক্ষণিকের স্তব্ধতা খুঁজি।
এলোমেলো কঙ্কাল, অবয়বে আনুবিস ক্লিশে,
বুক খুঁড়ে শুনেছি, সিম্ফনি, ধীরে ফিসফিসে।
স্পর্শের লুকোচুরি, পিঞ্জরে গোপন আদল,
পানসে, স্মৃতি মাখা সানগ্লাসে বৃষ্টিবাদল।
টুকিটাকি লেনদেন, বড়সড় কারচুপি ঢাকে,
ঝরে পড়া কবিতারা প্লাবনের পেলবতা রাখে।
বিভবের কম বেশী, পাগলা ষাঁড়ের দাপাদাপি,
মনের বাগান জুড়ে চরম অবাধ্যতা মাপি।
ভ্যাবাচ্যাকা সেরেবেলাম, মাসপেশি স্থির, জড়সড়,
শব্দ-খেলার মাঝে আবেগের অংশটা বড়।