Wednesday, November 1, 2017

আশ্রয়

বয়ে চলা সময়ে স্নান সেরে, সাফ, পরিপাটি,
বালি ঝরা পাড় বেয়ে সাবধানে পা টিপে হাঁটি।
এজলাসে গলা ছাড়ে মালকোষ ভাটিয়ালি গান,
রোদে ছ্যাঁক করে ওঠে ঘুমন্ত মান অভিমান।
কপিবুক মাঝমাঠে, গ্যালারিতে রমরমে আর্ট,
সারা শীত পার হোলো গায়ে দিয়ে তোর দেওয়া শার্ট।

Thursday, July 27, 2017

নস্টালজিয়া

বেঁচে থাকা মুহুর্তরা, ফেলে আসা সময়ের কাছে ঋণী,
তুমি আমায় ভুলে গেলেও, আমি কিন্তু আজও তোমায় চিনি।
 
সেই ক্লাসরুম কথা কয়, ভয়, অনুভূতি, স্পন্দন, নিশ্বাসে,
কত স্বপ্ন ভাঙে গড়ে, সেই পথ ধরে, কত যায় কত আসে।
 
বারান্দায় উঁকি মেরে যায় আজও রোদ্দুর, বর্ষার জল, কাক,
ছুটতে থাকা সময় নাহয় আরও কিছুদিন আমার কাছে থাক।
 
কত সময় ঢাকা পড়ে আছে, চারিদিকে, দেওয়ালে দেওয়ালে,
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ, আজও জেগে ওঠে আঙুল ছোঁয়ালে।

Saturday, July 8, 2017

মড়ক

সারাদিন ধরে টুপুরটাপুর, চিনচিন করে পা,
ফ্যানের হাওয়ায়, মাথা ঘুরে যায়, বোধয় দুর্বলতা।
শুনি কানাঘুষো, আর পোস্ট করা যাবে না ফেসবুকে,
ধর্মের মাছি, ছুটে আসে পচা সমাজের গন্ধ শুঁকে।


কাদা কিচকিচ, জমা জলে মসা, মাছি, নোংরা সড়ক,
জলে ভিজে জ্বর, বমি রাতভর, কলেরা, বুঝি মড়ক,
আমি সমাজ, আমার খবর কখনো রাখেনি কেউ,
আধ ক্রোস দূরে, নিরব ভুতুড়ে গ্রামে নাকি কারফিউ!

Saturday, June 3, 2017

হাইলি অপিনিয়নেটেড

একটু বাজার গেছিলাম, বরফঢাকা শক্ত নোনা মাছ আর আড়ৎপচা সবজি হেব্বি সস্তায় পেয়েছি, জমিয়ে ভুরিভোজ হবে আজ। না এর চেয়ে দামি আর তো কিছু দেখলাম না বাজারে, লোকজনের ওপিনিয়ন ছাড়া। হ্যাঁ ঐতো রেডিও চালিয়ে তাসের বান্ডিল নিয়ে বসে যারা একহাতে মাছি মারছে আর আরেক হাতে পাছা চুলকোচ্ছে, তাদের জন্য নাকি বাজারে নতুন কিসব আসছে। কে যেন বলছিলো দুজনের সংসারে এমনিতেই খাওয়া জোটে না, এরপর আবার নেশা করে বৌয়ের গায়ে হাতও তোলা যাবে না। বাইচান্স যদি কান্নাকাটি করে ফ্যালে অমনি দুজন থেকে তিনজন থেকে চারজন এভাবে বাড়তে থাকবে সংসার। পাশ দিয়ে যেতে যেতে যেটুকু বুঝলাম, ওরা যারা সংসারের জন্য গরুর মতো খাটছে তাদের জন্য বীফ ব্যান এর মতো সুখবর আছে। তাই আমাদের মতো ছাগলদেরও একটা প্রশ্ন আছে, কোন কোর্টে এফিডেভিট করে ছাগল থেকে গরু হওয়া যায় যদি একটু বলতে পারেন খুব খুব খুব সুবিধে হয়।

উফফ, দুপুরের ভুরিভোজের পর শেষ পাতে আরেকগুচ্ছ টক ঝাল মিষ্টি ওপিনিয়ন হলে মন্দ হয়না। গাছের ছায়ায় দড়ির তাকিয়ে ফেলে রেডিওটা চালাতেই ঢিঞ্চকপূজার গান শুনে মন টা জুড়িয়ে গেল। ব্যাস অমনি ঢিঞ্চকপূজার নাম শুনে তোমাদের মতো উড়নচন্ডী জ্ঞানীগুণীরা নিশ্চই দাঁতে আঙ্গুল চেবাচ্ছো আর ভাবছো, কি চয়েস রে বাবা। বুক ফুলিয়ে বলতে পারি 'ইটস মাহহ চয়েস'। সবাই তো আর সোনু নিগম হতে পারে না, কিন্তু তা বলে কি গান গাইবে না! সুতরাং ঢিঞ্চকপূজার গান যদি কারুর সকালের অ্যালার্ম টোন কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সঙ্গী হয়, তাতে রোদ্দুর রায়ের পাকা দাড়িতে একটিও আঁচড় পড়ার কথা নয়! খামোখা তোমরা নিজেদের ভাব ধারণার বাগানে হিরো আলম এর মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের টেনে এনে তাদের ভাবমূর্তিকে হেয় করো। তুমি ঋত্বিক, সত্যজিৎ, মৃণাল প্রেমী হতে পারো, তা বলে কি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের ভুলটা শুধরে দিয়ে নিজের ছোটবেলার বুনিপ দেখার ইচ্ছেটা চাঁদের পাহাড়ে পূরণ করতে পারবেন না! এটা কাঁহাকার ইনসাফ। হাজার হাজার মিমিক্রি আর্টিস্টের ন্যাকামি, তোতলামি দেখে তোমরা হেসে লুটোপুটি খাবে, ইরফান আর নওয়াজুদ্দিন এর অভিনয় দেখে 'ন্যাচারাল ন্যাচারাল' বলে চিৎকার করবে, অথচ দেবের ন্যাচারাল তোতলামি তোমাদের চক্ষুশূল। এসব তো আর মেনে নেওয়া যায় না। দেশ বিদেশের সমস্ত ছবি দেখার, গান শোনার অবকাশ কারই বা আছে বলতো। প্রীতম এর মিউসিক আর রাজ্ চক্কোত্তির মুভির যুগলবন্দী যে দেশ কাল সংস্কৃতির সীমানা মিটিয়ে দিচ্ছে তার জন্য একটু দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতেও কি পারো না!

সেই চরকির মতো ঘুরতে ঘুরতে সূর্যটা ঈশানকোণে গিয়ে বসেছে, তাতে কি কেও আপত্তি করেছে! অথচ ইংল্যান্ড-এ খেলতে গিয়ে বিরাট কোহলি অনুষ্কার সাথে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, তোমাদের আপ্লিকেশন লেটারটা টেবিলে টেবিলে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, ভোটের চাকা ডান থেকে বাঁয়ে কিংবা বাম থেকে ডায়ে ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশ বিভুঁই ঘুরলে তোমাদের আপত্তি, এমনকি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর আইকন টা ঘুরলেও তোমাদের সহ্য হয় না। ইনটলারেন্স নয়তো আর কি ই বা বলা যায় শুনি। বছর ঘুরলে যখন জিও এর অফার টা শেষ হয়ে যাবে, তখন যদি তোমাদের সম্বিৎ ফেরে। তারপর আম্বানি প্রবাসী হলে গোলগোল চোখ করে প্রশ্ন করো না যে আমাদের ট্যাঁকের টাকা গুলো গেলো কোথায়।

হাজার হাজার ওপিনিয়ন এর রমরমা তোমাদের মধ্যে। ঢাক ঢোল পেটানো থেকে শুরু করে, লাঠি সোটা দিয়ে পেটানো অবধি কিছুই বাকি রাখছো না তোমরা তোমাদের ওপিনিয়ন এর প্রচারে আর প্রসারে। অথচ একটু ড্রিংক করে দেশের মাটি ছেড়ে হাওয়ায় কপিল শর্মা নিজের মতামত রাখলেই গোলযোগ। সোনু নিগম টুইট করলে তার ওপর চর্চা, ফতোয়া। কে.আর.কে. এর টুইট এর পর টুইট কে নিয়ে হাসি ঠাট্টা, এমনকি অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য কে তো ব্লকই করে দেওয়া হলো। কেন তোমরা বাহুবলি টু দেখতে ব্যস্ত বলে কি কেও নিজেদের মতামতও রাখতে পারেনা! কাটাপ্পা বাহুবলি কে কেন মারলো জানার জন্য বছর খানেক অপেক্ষা করতে পারো, হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালতে পারো অথচ টেট এর পরীক্ষার ফল জানতে লাখ খানেকেও আপত্তি। বলি দেশের ভবিষ্যৎ কার হাতে, শিক্ষকদের নাকি রাজামৌলীর!

 নাহ আর পারছি না বাপু। সন্ধ্যে হয়েছে, গরু টাকে গোয়ালের খুঁটোয় বেঁধে দুটো খড়কুটো দিয়ে আসি নাহলে আবার কাল সকালে দুধ পাবো না, শুধু জল তো আর ব্যাচা যায় না। ভাগ্গিস গরুগুলো লিখতে পড়তে পারে না, নাহলে গরুগুলো হাল চষতে না চাইলে আমাদেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকতো না। স্বাক্ষরতা মিশনের আওতায় গরুগুলো আসার আগে একটা দালান ঘর, দেরাজ ভর্তি কাঁচা টাকা, দু একটা গাড়ি, আর একটা পলিটিকাল পার্টির টিকিট কেটে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে। তোমরা থাকো তোমাদের ওপিনিয়ন নিয়ে, আমাদের তো খেয়ে পরে বাঁচতে হবে, নাকি। নসবন্দী করে সংসারে লোকসংখ্যা টা কমে গেলো, এখন নোটবন্দির দৌলতে ব্যাংকে লাইন দেবে কে শুনি। শ্বাসবন্দি হওয়ার আগে আরেকদিন যদি বরফঢাকা শক্ত নোনা মাছ আর আড়ৎপচা সবজির ভুরিভোজ টা হয়ে যায় মন্দ কি।

Thursday, May 4, 2017

আকাশবাণী

আকাশে বাতাসে, জোট বেঁধে আছে, ধোঁয়ায় কালো আজ চারিদিক,
পোড়া কঙ্কালে, জোরে ধমকালে, লাল হয়ে ওঠে বায়োপিক।
শ্লেষ মাখা গায়ে, যদি মন চায়, ঝাঁপ দিয়ো ঘন বর্ষায়,
মুখ- কালো দাগ, গনগনে রাগ, ফেলে রেখে এসো দরজায়।


নিভু নিভু টুনি, মন্দ্রাতেও শুনি, লাল কালো মেখে অভিমান,
পিলে চমকায়, কাঁপে শঙ্কায়, তাও যদি সময়ে ফেরে জ্ঞান।
বিবর্তনের চাকা, থামেনি এখনো, আজও নাব্য পুরানো বন্দর, 
কেটে ফ্যালো লেজ, নাহলে সতেজ আজো লংকার বুকে সুন্দর।

কথা কথা প্রেম, এক ঝাঁক পাখি, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, বেড়ায় ঘুরে,
খোলা ব্যালকনি, ঝাপসা চাহনি, সন্ধ্যা নামছে আকাশ জুড়ে।
সোঁদা সোঁদা ঘ্রান, ভেজা ভেজা মাটি, লোডশেডিং এ ছন্দপতন,
জানলার পাশে, গান ভেসে আসে, ঘন লিমেরিক- ঠিক তোমার মতন।

Tuesday, April 18, 2017

স্পেসাল অফার

বকলমে দুকলম আচঁড় কেটেছে চিন্তাগুলো ক্যানভাসে,
ট্রাফিক আইন, মানছো কি না, হুলস্থুল এজলাসে।
পেশাদার তুমি, তোমায় নিয়েই দিবারাত্রির কাব্যি হোক,
নর্দমা ঘেঁটে, কাদা পাঁক মেখে, নাচছে তোমার পাড়ার লোক।
চিড় ধরেছে, রক্তে রন্ধ্রে, কশেরুকায়, অস্থি মজ্জায়, গ্রে সেলে,
আপাদমস্তক উই ধরেছে, ভাটা পড়েছে আক্কেলে।
 
না, আমি দুধ কলা মাখি, কালসাপ পুষি না,
শিরদাঁড়া ভেঙে, খিদের চোটে আঙুল চুষি না।
কলপ কালো চুলের আড়ালে বদন ঢাকে যারা,
লাইফটাইম গ্যারান্টি সহ, পোর্টেবল, ল্যামিনেটেড শিরদাঁড়া।
স্পেসাল অফার, ভিড় জমেছে, বিগ বাজারে, শপার্স স্টপে, ফুটপাতে,
সরীসৃপের জাত চেনা যায় ছোবল মারা বিষদাঁতে।

তুমি আশাবাদি

তুমি আশাবাদি,তোমার চোখে দূরে মিশে যায় সমান্তরাল,
আমি বাস্তব,আমার আপেলে আজও বাস করে কীট,
তুমি ভাবো তাই সবাই মানুষ,সবাই সমান, রক্তে লাল,
আমি চিনি বাইবেল কুরান গীতা, বাকি সব বুলশিট।


তুমি আশাবাদি, তোমার চোখে বৃষ্টি মাখা মাটিতে প্রেম,
আমি বাস্তব, আমার পথ, পিছল প্যাচপ্যাচে জলকাদা,
তুমি ভাবো তাই সবাই মানুষ, সবাই সমান, ভাই বেহেন,
আমি তোমায় ভাবি চাকর শ্রমিক, আর আমি নবাবজাদা।

তুই আশাবাদি, তোর চোখে আজও বেচেঁ আছে ভবিষ্যৎ!
আমি বাস্তব আমার কাছে বর্তমানই শেষ কথা,
তুই তাও আজও স্বপ্ন সাজাস, এত বড় তোর হিম্মত!
তোর জন্য কবর খোঁড়া, তোর জন্য আজ নীরবতা।

Wednesday, March 29, 2017

তোমার যদি সময় থাকে

মিনিট সেকেন্ড ঘন্টা দিয়ে যাদের সময় যাচ্ছে কেনা,
হাতঘড়িতে জীবন মেপেও প্রাণ ব্যাঙ্কে অঢেল দেনা।
একটা আকাশ পোষ মানাবো তোমার যদি সময় থাকে,
একটা জীবন লুকিয়ে আছে দশটা পাঁচটা কাজের ফাঁকে।


মেঘের চোখে জল জমেছে, গাল ফুলিয়ে বর্ষা নামে,
আজও সময় থমকে আছে টাইম কলের ট্রাফিক জ্যামে।
তোমার যদি সময় থাকে, একটা মেঘের বুকিং আছে,
খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে থেকো, প্রেম পাঠাবো তোমার কাছে।

ষোলো আনার আইস্ক্রিম, আট আনার টুকরো হাসি,
চলো দুটো পেখম কিনে বিশ্বজগত ঘুরে আসি।
একটা দুপুর যাচ্ছে কেনা জমাপুজিঁর দুটাকাতে,
তোমার যদি সময় থাকে সব বর্ষা এক ছাতাতে।

Friday, March 24, 2017

আরো একদল শ্রীজাত হোক

গুন্টুর থেকে একডালিয়া রাস্তা ভর্তি কুরআন গীতা,
ধসের চাকায় প্রাণ দিয়ে যায়, লজ্জা শরম, আর পতিতা।
শিল্প হালিম, সহজপাচ্য হতেই হবে, নইলে জবাই,
কুঠার হাতে, তাসলিমা আর শ্রীজাতরা, আর সাথে আমরা সবাই।

ব্যাপারটা সহজ বড়, সকাল সন্ধ্যা দুপুর বিকাল,
যাই ঘটছে, যাই রটছে, সবই পিওর পলিটিকাল।
স্পিরিট লেভেলে ফারাক বড়, সহনশীল বা প্রতিবাদী,
পলিটিক্সের নোংরা জলে মুখ ধুয়ে যায় নবাবজাদি।
ধর্ম জাতি, জন লোকপাল, রিসারভেশন, কালো টাকা,
সাক্ষি আছে অঢেল সময়, সব ঘড়ারই শব্দ বেশি, ভেতর ফাঁকা,
সেই জোচ্চুরি, সেই রাহাজানি, সেই ক্ষমতার দখলদারি,
কেও কার্ল মার্ক্স কেও লেনিন, আদতে সিঁধ কাটা চোর, ভোট ব্যাপারি।
সমস্যাটা অন্যখানে, আমরা সবাই সব জানি,
কার হাতে খড়্গ কৃপাণ, কেই বা খুনি কে আসামি,
অনেক হয়েছে ঘরের কোণে, খাবার টেবিলে, ভন্ডামি শোক,
অ্যাপলিটিকাল শব্দ বেছে, সাংবিধানিক মাপকাঠিতে, আরো একদল শ্রীজাত হোক।

Tuesday, February 14, 2017

ভ্যালেন্টাইন

দু টুকরো সিক্ত চোখে,
সুগন্ধি তোর প্রেম, বিনাইন,
নিভু নিভু রাতে, আলোয় মাতে,
স্পর্শকাতর ভ্যালেন্টাইন।


দুকলমে প্রেম প্রস্তাব,
কাগজের বুকে হাজার জখম,
সোডা আর পেগে, রাত্রি জেগে,
স্বপ্নগুলো হরেকরকম।

দু হাত খুলে বক্ষে ডাকি,
রক্তে রন্ধ্রে তোর পরিণাম,
এক নিমেষে, হাওয়ায় মেশে,
প্রেম বিরহের যুদ্ধ বিরাম।

Friday, January 13, 2017

থার্মোমিটার

সন্ধ্যা হোলে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে,
দিনের ধকল, জমাট বাঁধা রক্ত ঘামে,
গলতে থাকে, মার্স জুপিটার।

কথার ওপর জমতে থাকা কথার চাপে,
জামার ভেতর গুটিয়ে থাকা সোহাগ মাপে,
স্পর্শকাতর, থার্মোমিটার।

লোডশেডিং এর অন্ধকারে বাড়ছে মড়ক,
বসছে মাছি, নর্দমা আর নোংরা সড়ক,
তৈরি থেকো, ইনকিউবেটর।

Monday, January 9, 2017

রেনেসাঁ

মাকড়সা জাল বোনে, মরচে পড়ে,
খোদাই করে তুঁতে,
ক্ষুধার শিশু রাস্তাঘাটে, নয়ন ঝরায়,
'বিরাম অস্ফুটে। 

চলদস্তুর মাপকাঠিতে স্তব্ধ বিতান,
পরমক্ষনে কাতর ফিসফিস,
দাসত্বের গালিচা ফুঁড়ে, জন্ম নিলো
রেনেসাঁ, হেরো -- ইলতুৎমিস !